মোদীর হয়ে সওয়াল, উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ রাষ্ট্রপতির!

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে নিজের নিরপেক্ষতা প্রমাণের মুখোমুখি হতে পারেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহ। সম্প্রতি টিভি ক্যামেরার সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির হয়ে সওয়াল করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন আবেদন জানিয়েছিল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে। নির্বাচন কমিশনের মতে, তিনি সাংবিধানিক পদে থেকেও বিধিভঙ্গ করেছেন। সেইমতো নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। রাষ্ট্রপতি কল্যাণ সিং সংক্রান্ত ফাইল পাঠিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে।

রাষ্ট্রপতি কিছুদিন আগে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। বুধবার তিনি দেশে ফেরেন। তারপরেই নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট ফাইল কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠিয়ে দেন। এবার কেন্দ্রীয় সরকার স্থির করবে, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।গত মাসে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করার পরেই দেশ জুড়ে আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়। রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিরা সাধারণত আচরণ বিধির আওতায় পড়েন না। কিন্তু রাষ্ট্রপতির অফিস থেকে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক পদে থেকে কাউকে ভোটের প্রচার করতে অনুমতি দেওয়া যায় না।একটি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন, ভোটের প্রক্রিয়া চলার সময় কল্যাণ সিংকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা।

৮৭ বছর বয়সী কল্যাণ সিংকে ক্যামেরার সামনে বলতে দেখা যায়, দেশের স্বার্থেই নরেন্দ্র মোদীকে ফের নির্বাচিত করা উচিত। ওই কথা বলার সময় তিনি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে নিজের বাড়িতে ছিলেন। স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা সেখানকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানানোর জন্য কল্যাণ সিং-এর বাড়িতে গিয়েছিল।তিনি তাদের বলেন, আমরা সকলেই বিজেপির কর্মী। আমরা নিশ্চয় চাইব, বিজেপি জিতুক। আমরা প্রত্যেকেই চাই, মোদীজি আর একবার প্রধানমন্ত্রী হোন। দেশ ও সমাজের স্বার্থে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া দরকার।২০১৪ সালে কল্যাণ সিং রাজস্থানের রাজ্যপাল হন। ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন। ২০০৪ সালে ফের দলে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে তাঁকে রাজস্থানের রাজ্যপাল পদে নিয়োগ করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপে নিজের নিরপেক্ষতা প্রমাণের মুখোমুখি হতে পারেন।তবে, ১৯৯০ সালে মধ্য প্রদেশের গভর্নর নিজের ছেলের জন্য প্রচার চালিয়েছিলেন। নির্বাচনের আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে পদত্যাগ করতে হয় তাঁকে।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest