মোদী দুর্বল প্রধানমন্ত্রী, শি জিনপিংকে ভয় পান, মাসুদ ইস্যুকে হাতিয়ার করে তোপ রাহুলের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি : আবারও চীনের বাধায় নিষিদ্ধ জঙ্গিদের তালিকায় জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারল না ভারত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জইশ প্রধান নিয়ে ভোটাভুটিতে এই নিয়ে চতুর্থবার ভেটো দিল চীন। এতে পুরো বিষয়ে নিজেদের ‘হতাশা’ ব্যক্ত করেছে দিল্লি। এমন সময় মাসুদ আজহার ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।টুইটারে তিনি বলেন, ‘দুর্বল মোদী শি জিনপিংকে ভয় পান। চীন ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে, উনি কোনও শব্দও করেন না।’

বৃহস্পতিবার সকালে করা টুইটে রাহুল গান্ধী আরও বলেন, নমোর চীন কূটনীতি হলো প্রথমত গুজরাটে শি জিনপিং-এর সঙ্গে বেড়ানো। দ্বিতীয় দিল্লিতে শিকে আলিঙ্গন এবং তৃতীয়ত চীনের কাছে মাথা নত করা।’

এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজ এক দুঃখের দিন। কেন দুঃখের দিন সেকথা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, চিন যেভাবে মাসুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করতে বাধা দিল, তাতে বোঝা যায়, তারা পাকিস্তানের নির্ভরযোগ্য বন্ধু। পাকিস্তানেই তো রয়েছে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর। মোদীকে দোষারোপ করে সুরজেওয়ালা বলেন, তাঁর কূটনীতির ফলে একের পর এক বিপর্যয় নেমে এসেছে।তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মাসুদ আজহারকে হাতিয়ার করে বিজেপিকে তুলোধোনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সরকারই মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দিয়েছিল। অজিত ডোভালের পুরোনো সাক্ষাৎকারকে হাতিয়ার করে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। এদিন সেই অস্ত্রে আরও একবার ধার দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, চিন যদি এমন সংবেদনশীল ইস্যুতে পাকিস্তানেরই পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে শি-র সঙ্গে এত আলোচনা করে কী লাভ হল। মোদী তো শি-র সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য খুব চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলতে হবে।

তবে কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি-ও। এই জন্য তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করাল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকেই। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, ‘‘জওহরলাল নেহরু সাহায্য করাতেই ভারতের জায়গায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল চিন। সেই ফল এখন ভুগতে হচ্ছে ভারতকে।’’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest