Site icon The News Nest

মোরাদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী রবার্ট বঢরা !

image

নয়াদিল্লি : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন সনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢরা। জল্পনা উস্কে দিল ওই কেন্দ্রের একটি পোস্টার। সোমবার মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মেলে একাধিক পোস্টারের। তাতে লেখা ‘রবার্ট বঢরাজি, মোরাদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।’  পোস্টারের বেশির ভাগটা জুড়েই রয়েছে রবার্ট বঢরার মুখের ছবি। এবং পিছনের সারিতে সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর  মুখ।

রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন ২০১৭-র ডিসেম্বরে। মাসখানেক দলের সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন তাঁর দিদি প্রিয়াঙ্কা্ গান্ধী। তাঁকে নিয়ে এখন কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার এক ফেসবুক পোস্টে রাজনীতিতে নামার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রবার্ট বঢরা। লিখেছিলেন,’দেশবাসীকে সাহায্য করার জন্য আমার রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন নেই। কিন্তু, যদি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে আমি আরও বড়সড় বদল ঘটাতে পারি, তা হলে ক্ষতি কী?’ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পড়া এই পোস্টার নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে ওই ফেসবুক পোস্টের পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলীয় নেতা মুখতার আব্বাস নকভির কটাক্ষ,’লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। #রবার্টইজরেডি। এই পি-আর (প্রিয়াঙ্কা-রাহুল) ক্ষমতার সার্কাসে এক জন জোকার অনুপস্থিত ছিল। এ বার মনে হচ্ছে সেই জোকারেরও প্রবেশ ঘটল।’

তবে কি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ কেন্দ্র থেকেই লোকসভা ভোটে লড়াই করতে দেখা যাবে রবার্ট বঢরাকে? বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই তাতে জল ঢালেন খোদ রবার্ট। সোমবার সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,’আগে ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে নিজেকে মুক্ত করি. তারপর এই নিয়ে ভাবব। আমার কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ঠিক সময়ে সব হবে।’

ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, লোকসভা ভোটের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে রবার্ট বঢরার যোগদান নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও কাজটা সহজ নয়। কারণ রবার্টের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি মামলা ঝুলছে। রাজস্থান ও হরিয়ানায় দুর্নীতির অভিযোগ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে ব্রিটেনে ন’টি বেনামি সম্পত্তি কেনা ও বিকানেরে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। আপাতত আগাম জামিন নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছেন তিনি। তবে বারবার হাজিরা দিতে হচ্ছে তাঁকে। অন্যদিকে, পোস্টার পড়ার ঘটনাকে কংগ্রেসের সরকারি অবস্থান বলে নারাজ দলের নেতারা। দলের নেতা সন্দীপ দীক্ষিতের বক্তব্য, উত্সাহিত হয়ে কর্মীদের একাংশ এই কাজ করেছেন। এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত।

Exit mobile version