শীতকালে মানেই শুষ্কতা। আর সেই শুষ্কতার সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে স্কিনে। ফেটে যায় পা – মুখ। আর ফেটে যায় ঠোঁট। সারাবছর সুন্দর ও আকর্ষণীয় থাকা ঠোঁট নিমেষে হারিয়ে ফেলে কোমলতা। সেই কারণে শীত মৌসুমে খুবই আদর-যত্নে রাখতে হয় ঠোঁট। ফাটা ঠোঁট দেখতে যেমন খারাপ লাগে, তেমনি যন্ত্রণাও কম নয়। আআসলে শরীরের বাকি অংশ এর থেকে ঠোঁটের চামড়া বেশি পাতলা হয়। সেই কারনেই প্রয়োজন হয় অতিরিক্ত যত্নের। তবে ফাটা, বাজে দেখতে লাগা ঠোঁট থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলতে পারে। প্রাকৃতিক উপায়েও আপনি নরম রাখতে পারেন ঠোট। তার জন্য মেনে চলুন কয়েকটা মাত্র স্টেপ। যেমন –
১। ফাটা ঠোঁটে বার বার জিভ দেবেন না। তা ঠোঁটকে আরও বেশি শুষ্ক করে দেয়। এর বদলে সঙ্গে একটা লিপ-বাম বা লিপ-জেল রাখুন এবং ঠোঁট শুকনো লাগলেই একটু মেখে নিন। আর হাত-মুখ ধোয়ার সময় বা দাঁত মাজার সময় কোনোভাবেই যাতে ঠোঁটে জোরে জোরে ঘষা-মাজা না লাগে তা খেয়াল রাখা দরকার।
২। শীতকাল মানেই সর্দি – কাশি। তবে ভুল করেও মুখ দিয়ে নিস্বাস নেবেন না। এই কাজ আপনার ঠোঁটকে শুকনো- খটখটে করে দেবে মুহূর্তে।
৩। মেনে চলুন স্বাস্থ্যকর ডায়েট প্ল্যান। শীতকালে নানা সবজি ও ফল পাবেন। ঠোঁট ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে ঠোঁটে আর্দ্রতা থাকবে। এ সময় ভিটামিন ‘সি’যুক্ত ফল বেশি করে খান।
৪। প্রচুর পরিমানে জল পান করুন। আপনার ত্বকের মত ঠোঁটেরও প্রয়োজন হল আর্দ্রতা। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা দেখা দেয়।
৫। রাতে ঘুমের আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলতে হবে। একটা তুলোর বল দিয়ে তুলে ফেলুন ঠোঁটের সব মেকআপ। এছাড়া শীতকালে ম্যাট ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা, শীতে ম্যাট লিপস্টিকে ঠোঁট দুখানা আরও প্রাণহীন মনে হতে পারে।
৬। রাতভর আর্দ্র রাখুন আপনার নরম- পেলব ঠোঁট দুখানি। ভারি কোনও লিপ ক্রিম কিংবা পেট্রোলিয়াম জেলির মোটা পরত ঠোঁটে লাগিয়ে ঘুমাতে যান। এছাড়া লাগাতে পারেন যেকোনো ক্রিম বা কাঁচা দুধ বা ঘি।
৭। যেকোনো তেল দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট মাসাজ করুন ঠোঁট। এতে বাড়বে ঠোঁটের রক্ত চলাচল। আপনার অধর হয়ে উঠবে আর মনোময়।
৮। ব্যাগে সবসময় রাখুন লিপবাম। শুকনো লাগলেই প্রয়োজনমত বুলিয়ে নিন ঠোঁটে। তবে এরিয়ে চলুন সস্তার লিপস্টিক – লিপবাম।