Site icon The News Nest

যত দ্রুত সম্ভব নিষিদ্ধ করা হোক টিকটক অ্যাপ, কেন্দ্রকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের

ticktock

চেন্নাই: ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো এখন জনপ্রিয় টিকটক অ্যাপ। বর্তমান যুগের তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশই ঝুঁকেছে টিকটক অ্যাপের দিকে। বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার ডায়লগ-সহ নানা রকম মজাদার অডিও-র সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায়। ২০১৮ সালে ভারতে সব থেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলির মধ্যে প্রথম দিকে রয়েছে টিকটক। এবার এই অ্যাপটির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন অনেকে। বুধবার মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রকে এই চিনা মোবাইল অ্যাপটি নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে৷

আদালতের পর্যবেক্ষণ, টিকটক অ্যাপের কনটেন্ট অনুপযুক্ত৷ এখানে পর্ণগ্রাফির মতো কনটেন্টও রয়েছে যা কমবয়সীরা সহজেই তার নাগাল পেয়ে যাচ্ছে৷ তাছাড়া এই মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে স্কুল পড়ুয়ারা যেভাবে অনলাইনে অপরিচিতদের সাথে নিজেদের এক্সপোজ করছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেঞ্চ৷মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন কিরুভাকরণ ও বিচারপচি এসএস সুন্দরের নির্দেশে তিনটি জিনিস উঠে আসে৷ প্রথমত, টিকটক মোবাইল অ্যাপকে নিষিদ্ধ করতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, টিকটক মোবাইল অ্যাপে তৈরি কোনও ভিডিও মিডিয়া সম্প্রচারিত করতে পারবে না৷ তৃতীয়ত, কমবয়সীদের বিশেষত ১৮র কম বয়সীরা যাতে সাইবার অপরাধের শিকার না হয় তা আটকাতে আমেরিকার মতো চিলড্রেনস অনলাইন প্রাইভেসি প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু করা নিয়ে কী ভাবছে৷

বিচারপতিরা তাদের নির্দেশে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন৷ এই দুই দেশে নিষিদ্ধ টিকটক৷ মাদুরাইয়ের এক আইনজীবী ও সমাজকর্মী মুথু কুমার টিকটককে নিষিদ্ধের দাবিতে মাদ্রাজ হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন৷ পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন, এই মোবাইল অ্যাপে অতিরিক্ত আসক্তির জেরে কমবয়সীদের মধ্যে সংস্কৃতির অবনতি ঘটছে৷ পর্ণগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাচ্ছে৷ শিশুনিগ্রহ বাড়ছে৷ ভারতে প্রতিমাসে ৫৪ মিলিয়ন টিকটক ব্যবহার করে৷ ২০১৮ সালে বেজিংয়ের ননগেম মোবাইল অ্যাপটি ছিল ছিল চতুর্থ ডাউনলোডেড অ্যাপ৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ এপ্রিল৷

টিকটক অ্যাপের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ আনেন তামিলনাড়ুর এআইডিএমকে নেতা ও বিধায়ক থামিমাম আনসারি। তাঁর অভিযোগ, এই অ্যাপটি ভারতীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করছে। বহু অভিভাবক ও সমাজকর্মী তাঁর কাছে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন অ্যাপটির বিরুদ্ধে। আনসারি আরও জানান, চিন কিংবা সৌদি আরবে এই সব অ্যাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে। ভারত পারিবারিক সংস্কৃতির উপর বিশ্বাস করে। ছোট থেকেই বাচ্চাদের এগুলি শেখানো হয়। কিন্তু টিকটিক-এ আজকাল অশ্লীল ভাবে নাচ করে সেই ভিডিও আপলোড করেন সবাই। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় সংস্কৃতি। কেন্দ্র এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে, তিনি নিজেই কঠোর নিয়মাবলী আনা যায় কি না সেই ব্যাপারে খোঁজ নেবেন বলে জানিয়েছেন আনসারি।ব্লু হোয়েল গেমের মতোই, টিকটক বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এম মন্দিকন্দনও।

Exit mobile version