গোহত্যাকে কেন্দ্র করে হিংসার ঘটনায় পুলিশ অফিসার সুবোধ কুমারের খুন নিয়ে এখনও জারি চর্চা৷ তারই মাঝে আরও এক উর্দিধারী খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরপ্রদেশে৷ তড়িঘড়ি নিহত পুলিশ অফিসারের পরিবারকে ৪০ লক্ষ টাকা ও পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে বিক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনের৷
শনিবারের ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে। সেখানে মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।গাজিপুরের সভায় নিরাপত্তার কাজে ছিলেন নোনহারা থানার কনস্টেবল সুরেশ বৎস। প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার পর তাঁরাও ডিউটি সেরে ফিরে যাচ্ছিলেন থানায়। পথে একটি হাইওয়েতে তখন চলছিল নিশাদ সম্প্রদায়ের অবস্থান বিক্ষোভ। তাঁরা আরও বেশি সংরক্ষণ চেয়ে হাইওয়েতে অবরোধ করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে৷ একটি পাথর এসে লাগে সুরেশের মাথায়৷ ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়৷
চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় পুলিশ খুনের ঘটনা ঘটল যোগীর রাজ্যে৷ বুলন্দশহরে গো হত্যা বিরোধী প্রচারের মুখে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল ইন্সপেক্টর সুবোধ সিংকে। গো হত্যার গুজব থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল সেখানে। বিক্ষোভ থামাতে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত হন ওই পুলিশকর্মী। তাঁকে পাথর, লাঠি ও কুড়ুলের আঘাত করেই থামেনি দুষ্কৃতীরা, গুলিও করে। তারপর দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপরেই বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাতেও যে রাজ্য সুরক্ষিত নয়, তা এদনিই ফের প্রমাণিত হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রীর সভার পরেই এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কংগ্রেসের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিস সুরক্ষিত নয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কী করে দেওয়া হবে।