#মুম্বই: সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বলেছিলেন ‘রেপম্যান’। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি ভারতে বেশ কয়েকটি জঙ্গি হানায় জড়িত। মুম্বইয়ে ২৬/১১-র জঙ্গি হানা বা পুলওয়ামায় জঙ্গি বিস্ফোরণের পিছনে তাঁরই ষড়যন্ত্র আছে। এরপরে দেশদ্রোহিতার মামলা করা হল র্যাপ গায়িকা হর্দ কাউরের বিরুদ্ধে।
ভারতীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ ব়্যাপার তরণ কউর ধিলোঁ, যিনি হর্দ কউর বলেই ব়্যাপ জগতে অধিক পরিচিত৷ তাঁর ফেসবুক পাতার ছত্রে ছত্রে যোগী আদিত্যনাথ এবং মোহন ভাগবতের সমালোচনা৷ কোথাও আদিত্যনাথকে ‘ধর্ষক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তো কোথাও মুম্বই এটিএসের প্রাক্তন প্রধান হেমন্ত কারকারের ‘হত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন ব়্যাপার৷ এমনকী পুলওয়ামা-সহ দেশের একাধিক জঙ্গি হামলার কথা উল্লেখ করে ভাগবতের পরোক্ষ মদতকে দায়ী করা হয়েছে বিভিন্ন পোস্টে৷
আর সেসবকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছেন আইনজীবী শশাঙ্ক শেখর৷ হর্দ কউরের এসব পোস্ট অত্যন্ত আক্রমণাত্মক, যা যোগী এবং ভাগবতের মতো ব্যক্তিত্বের পক্ষে খুবই অবমাননাকর৷ তাঁর বিরুদ্ধে ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), ১৫৩ (ধর্মীয় বিভেদের ভিত্তিতে শত্রুতা ছড়ানো), ৫০০ (মানহানি), ৫০৫ (অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়া) এবং ৬৬ নম্বর ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের এই প্রথম নয়৷ আগেও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলা তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনামূলক পোস্ট দেওয়ায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা করেছিলেন৷ তবে সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও আক্রমণাত্মক সমালোচনাকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আওতায় আনা যায় না৷ যদি কোনও সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষকে উস্কানি না দেওয়া হয়, তা হলে সেই অভিযোগের গুরুত্ব নেই৷