Site icon The News Nest

রং বদল পাকিস্তানের! ৪৮ ঘণ্টায় জইশের সদর দফতর বদলে গেল মাদ্রাসায়

jaish

ইসলামাবাদ: ফের নিজেদের রূপ দেখাল পাকিস্তান। পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে আন্তর্জাতিক মহল প্রবল চাপে পড়ে সাত তাড়াতাড়ি পাক পঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ-এর সদর দফতরের দখল নেয় পাক সরকার। ৪৮ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তা অস্বীকার করল ইমরান খান সরকার। শনিবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পাক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল,দখল নেওয়া ওই মাদ্রাসা এবং মসজিদের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের কোনও সম্পর্কই নেই! মাসুদ আজহারের কোনও অস্তিত্ব নেই সেখানে।

বিতর্কের কেন্দ্রে পাক পঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরের একটি মাদ্রাসা এবং একটি মসজিদ। মাদ্রাসাতুল সাবির নামে ওই মাদ্রাসায় রয়েছে প্রায় ৬০০ পড়ুয়া এবং ৭০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। তার কাছাকাছিই রয়েছে জামিয়া-ই-মসজিদ। আন্তর্জাতিক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করছে, মাদ্রাসার আড়ালে আসলে এটিই জইশ-ই মহম্মদের ডেরা তথা সদর কার্যালয়। পঠনপাঠনের আড়ালে ওই মাদ্রাসা এবং মসজিদটি আদতে জইশের আঁতুরঘর। পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়তে থাকায় ওই মাদ্রাসা মসজিদের দখল নেয় পাক প্রশাসন।পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফওয়াদ চৌধুরিএকটি ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছিলেন, পাক পঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামিয়া-ই-মসজিদ-এর প্রশাসনিক দখল নিয়েছে পঞ্জাব প্রশাসন। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও ফওয়াদ জানিয়েছিলেন, জইশ-ই-মহম্মদের সদর কার্যালয়ের দখল নিয়েছে সরকার। আবার পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

শনিবার পাক সরকারের আধিকারিকরা বেশকিছু সাংবাদিকদের নিয়ে ভাওয়ালপুরের ওই ক্যাম্পাসে যায়। ভাওয়ালপুরের ডেপুটি কমিশনার শাহজিব সইদ ওই ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ঘুরে দেখান। আর তারপরই জানানো হয়, ওই জায়গার সঙ্গে জইশের সঙ্গে কোনও যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি সংবাদমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় জানান, ‘পাক পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুরের মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামিয়া-ই-মসজিদ সুভানাল্লাহর দখল নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে। মাদ্রাসাতুল সাবির একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্ক নেই। মাদ্রাসায় ৬০০ পড়ুয়া আছে৷ নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে কারোর কোনও সম্পর্ক নেই৷ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে ধারণা প্রচার হয়েছে, তা গোটাটাই ভারতের তৈরি করা।’

 

 

Exit mobile version