গুয়াহাটি : নাগরিকত্ব বিলকে ইস্যু করে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেছিল অগপ।কিন্তু লোকসভার নির্ঘণ্ট ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্য বদলে গেল সেই বিরোধের চিত্র। গুয়াহাটিতে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠকের পর, ফের পুরনো বন্ধু অগপ-র সঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে গাঁটছড়া বাঁধার কথা জানাল বিজেপি।
যদিও দুমাস আগেই পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। নাগরিকত্ব(সংশোধনী) বিল ২০১৬, নিয়ে বিতর্কের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল অসমের পরিস্থিতি। শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামে শরিক অগপ। অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে গত জানুয়রি মাসে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে জোট ভাঙে অসম গণ পরিষদ।অসম গণ পরিষদের মান ভাঙাতে মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে দিনভর বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি নেতা রাম মাধব। ম্যারাথন বৈঠকের পর মাঝরাতে মেলে রফাসূত্র। গভীর রাতে বিজেপি নেতা রাম মাধব জানান, ‘‘আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে হারাতে বিজেপি এবং অগপ এক সঙ্গে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ অগপ ছাড়াও পুরনো জোটসঙ্গী বোড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্টকেও (বিপিএফ) পাশে পাওয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি।২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে অসমের ১৪টি আসনের মধ্যে সাতটিই পেয়েছিল বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। অন্য দিকে একটি আসনেও জিততে পারেনি অসম গণ পরিষদ। ২০১৬ সালে অসম বিধানসভার নির্বাচনে অবশ্য বড় সাফল্য পায় অগপ-বিজেপি-বিপিএফ জোট। টানা তিন বারের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তারা। রাজনৈতিক মহলের মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে সংবেদনশীল উত্তরপূর্বে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানো তাই কঠিন ছিল অগপ-র কাছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখতেই তারা ফের বিজেপির জোটে ফিরল।
অসমে পুরনো শরিকের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে জোট গড়লেও পাশের রাজ্য ত্রিপুরায় সমস্যা বেড়েছে বিজেপি-র। সেখানকার শরিক দল আইএনএফটি রাজ্যের দুটি লোকসভা আসনেই লড়াই করতে চাওয়ায় বিজেপির সঙ্গে তাদের মনোমালিন্য শুরু হয়েছে। কারণ, বিজেপিও চাইছে সবকটি আসনে লড়তে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধান করতে আজ আইএনএফটির সঙ্গে বৈঠক করতে চলছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। অসমের মতো ত্রিপুরাতেও মৃসণভাবে তাঁরা জোট গড়তে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী তিনি।