রাজীব কুমারের হেফাজতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই, রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের আর্জি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: রাজীর কুমার ইস্যুতে ফের সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই। রাজীব কুমারকে হেফাজতে নিয়ে জেরার জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল তত্কালীন কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না। সেই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি নিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে সিবিআই।

প্রসঙ্গত, সারদা কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সিটের প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। সিবিআই-এর অভিযোগ, সিটের প্রধান থাকাকালীন সারদা দুর্নীতির অনেক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও বিকৃত করেছেন রাজীব কুমার। উল্লেখ্য, ৩ ফেব্রুয়ারি সারদা তদন্তে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে তাঁর বাসভবনে পৌঁছয় সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। তারপরই কলকাতা পুলিস বনাম সিবিআই দ্বন্দ্বে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।শীর্ষ আদালত তখন রাজীব কুমারকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য নির্দেশ দেয়। নিরপেক্ষ স্থান হিসেবে শিলংয়ে সিবিআই-এই মুখোমুখি হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় তত্কালীন পুলিস কমিশনারকে। পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা যাবে না বলেও তখন নির্দেশ দেয়। এরপর শিলংয়ে টানা ৮ দিন রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই তদন্তকারী অফিসারদের দল। জিজ্ঞাসাবাদের পর মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে জমা দেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই রিপোর্টে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পাশাপাশি, রাজীব কুমার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ সিবিআই-এর। এবার তাই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রাজীব কুমারকে জেরা করার জন্য শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই। রাজীব কুমারকে দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহারের আর্জি জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই রাজীব কুমারকে কলকাতা পুলিস কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে সিআইডি-র অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest