‘রাজ্যে ১৭ আসন বিজেপির’, সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে উল্লসিত গেরুয়া শিবির

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

কলকাতা: কোন সমীক্ষা কী বলছে তাতে কর্ণপাত না করে সাংগঠনিক সমীক্ষার উপরেই ভরসা করছে বিজেপি। আর সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাশা পশ্চিমবঙ্গে ১৭ আসনে জয় নিশ্চিত বিজেপির। ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতারা সেই ১৭ আসন ধরে ছক সাজাতে শুরু করেছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে সভাপতি অমিত শাহ সাত দফায় কোন কোন জায়গায় সমাবেশ করবেন সেটাও ঠিক করা হয়েছে ওই সমীক্ষা রিপোর্টের উপরে ভরসা করে।

একটা সময় পর্যন্ত ২৭টি আসনকে পাখির চোখ করে এগোনো বিজেপি এখন ১৭ আসন বলছে কেন! এর স্পষ্ট জবাব না দিলেও কেন্দ্রীয় সংগঠনের সঙ্গে সমীক্ষায় যুক্ত রাজ্য নেতার দাবি, যে ফর্মুলায় ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সমীক্ষা চালানো হয়েছিল সেই নীতি মেনেই তৈরি হয়েছে ১৭ আসনে জয়ের সম্ভাবনা। আর এই রিপোর্ট মিলে যাওয়ার সম্ভাবনাও ষোল আনা।
শুধু এটাই নয়, কোন আসনে কোন কোন ইস্যুতে নির্ভর করে ভোট লড়তে হবে তার রূপরেখাও কেন্দ্রীয় ভাবেই রাজ্যকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির ওই সূত্র। জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি জোর দেওয়া হবে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পাঁচ বছরের বিভিন্ন প্রকল্পে। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের আওতায় শৌচাগার নির্মাণ থেকে বাড়ি বাড়ি এলপিজি গ্যাস পৌঁছানো, দেশে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি থেকে কর্মসংস্থান, আয়ুষ্মান ভারত, কৃষকদের বছর ছ‍-হাজার টাকা অনুদান ইত্যাদি দশটি ইস্যুতে জোর দিতে বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির থেকেও বেশি করে তুলে ধরতে বলা হয়েছে ভারতের বিদেশ নীতি। পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা ফলাও করে বলতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড সমাবেশের পরেই এই নীতি পুরোপুরি কার্যকর হবে। সেই মতো প্রচার পুস্তিকার নকশাও করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর পরেও ‘নিশ্চিত’ বলে মনে করা সম্ভাবনাময় ১৭টি আসনের জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপির ওই সূত্র।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest