নয়াদিল্লি : রাফাল মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়৷ বুধবার রাফাল মামলার শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল রাও জানান, রাফাল সংক্রান্ত নথিগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে৷ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকেই রাফাল নথি চুরি গিয়েছে বলে জানান তিনি৷ রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজের আবেদন করেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাফায়েলের মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমানের চুক্তির নথি ঠিক করে সংরক্ষণ করতে না পারা কি সরকারের ব্যর্থতা নয়?
ফ্রান্সের কাছ থেকে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব কংগ্রেস সহ বিরোধীরা। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে তদন্তের আবেদন খারিজ করে দেয়। এই রায় পুনঃ বিবেচনার আবেদন করে শীর্ষ আদালতে মোট ৬ টি আবেদন জমা পরে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও অরুন শৌরি, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং আপ সংসদ সঞ্জয় সিং। ডিসেম্বরের রায়টি “অস্তিত্বহীন” ক্যাগ রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে আবেদনে।
বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সেই পিটিশনের শুনানি হয়৷ সেই সময় অ্যার্টনি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল সবাইকে চমকে বলে ওঠেন, ‘‘প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে কেউ কিছু নথি সরিয়েছে৷’’ তার কিছু আগে পিটিশনার প্রশান্ত ভূষণ আদালতের কাছে আট পাতার একটি নোট পেশ করতে যান৷ তাঁকে বাধা দেন অ্যার্টনি জেনারেল৷ তিনি তখন বলেন, ‘‘ওই নোট প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে চুরি গিয়েছে৷ তার ফলে তদন্ত মাঝপথে থমকে গিয়েছে৷’’ এখানেই থেমে থাকেননি অ্যার্টনি জেনারেল৷ বেণুগোপাল জানান, এই চুক্তির সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্ন জড়িয়ে৷ তিনি বলেন, অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের আওতায় নথি চুরি ও ফাঁস করে দেওয়া গুরুতর অপরাধ৷ যে দুটি খবরের কাগজ রিপোর্ট পেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷৷যদিও প্রশান্ত ভূষণ জানান, আদালতের কাছে জটিল কিছু তথ্য চেপে গিয়েছে কেন্দ্র৷ এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে৷ মুখবদ্ধ খামে আদালতের কাছে সেই তথ্য তুলে দেওয়ার কথা ছিল সরকারের৷ মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছে চুরি কথা নথির উপর পেশ করা সব রিভিউ পিটিশন যেন খারিজ করা হয়৷
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, রাফাল মামলার শুনানি হবে খোলা আদালতে । সেই মোতাবেক এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি সঞ্জয় কৌল ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চে ওপেন কোর্টে শুনানি হয়।সওয়াল- জবাবের পর এদিন ১৪ মার্চ পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।