#নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে ধাক্কা খেল বিজেপি। একইসঙ্গে স্বস্তির শ্বাস ফেলল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেসুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদন বৃহস্পতিবার পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দিল্লির দুই বাসিন্দা জয় ভগবান গয়াল ও চন্দ্র প্রকাশ ত্যাগী সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের পিটিশনে জানিয়েছিলেন, একটি ব্রিটিশ সংস্থা তাঁদের ২০০৫-’০৬ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে রাহুল গান্ধীকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছে। আবেদনকারীদের আর্জি ছিল, রাহুলের সত্যি সত্যিই ব্রিটিশ নাগরিক কি না, হলে তিনি লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন কি না, সুপ্রিম কোর্ট সে ব্যাপারে তদন্ত করতে ও সিদ্ধান্ত নিতে বলুক কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, বিজেপির সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তাদের বলেছেন, ২০০৩ সালে ব্রিটেনে ব্যাকঅপস লিমিটেড নামে এক কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করা হয়। তার ঠিকানা ছিল ৫১ সাউথগেট স্ট্রিট, উইনচেস্টার, হ্যাম্পশায়ার। রাহুল ছিলেন সেই সংস্থার ডিরেক্টর ও সেক্রেটারি।
রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও টেনে আনেন। তাঁর দাবি, একবার রাহুল আমেরিকার বিমান বন্দরে ঝামেলায় পড়েছিলেন। তাঁর কাছে যে পরিমাণ অর্থ ছিল, তা ঠিকমতো ঘোষণা করেননি। সেই সময় বাজপেয়ী তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নাগরিকত্ব বিভাগের ডিরেক্টর বি সি যোশী কংগ্রেস সভাপতিকে নোটিশ দিয়ে বলেন, নাগরিকত্বের ব্যাপারে আপনার মতামত জানান। এদিন সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে। বাকি দুজন ছিলেন বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, ‘কোম্পানিটি যদি রাহুলকে ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে তার মানে এটা নয় যে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। এই আবেদনের কোনও ভিত্তি নেই। তাই এটা খারিজ করা হল।’ উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি এ বার লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী ও কেরলের ওয়েনাড়ে প্রার্থী হয়েছেন।