নয়াদিল্লি : এই নিয়ে চারবার। মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসেবে ঘোষণা করতে ফের চিনের প্রাচীরে ধাক্কা খেল ভারত। বৃহস্পতিবার তাই নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেশের রাজনীতি। শুরুতেই এটিকে কূটনৈতিক বিপর্যয় বলে সেই দায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের উপরেই চাপিয়েছে কংগ্রেস। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দূর্বল বলে তোপ দেগেছেন তিনি।কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি-ও। সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে একহাত নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘রাহুল গান্ধী উৎসবের মেজাজে আছেন, যখন সারা দেশ চীনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। আপনার কী হয়েছে রাহুল গান্ধী। আপনার টুইট পাকিস্তানের শিরোনাম হওয়া উচিত।এতে আপনার ভালোই লাগবে। ২০০৯ সালে ইউপিএ জমানায় চিন মাসুদ আজহারের ব্যাপারে এরকমই আপত্তি করেছিল। তখনও কি আপনি এমনই টুইট করেছিলেন? মাসুদ আজহারের ক্ষেত্রেও কি কংগ্রেস বর্তমান কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করবে!’
জওহরলাল নেহরুকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা শশী তারুরের একটি বইকে হাতিয়ার করেছে বিজেপি। সেই বইতে বলা হয়েছে, ১৯৫৩ সালে ভারতকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ দিতে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি, জওহরলাল নেহরু ওই সদস্যপদ চিনকে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। এদিন সেই বিষয়টিও খুঁচিয়ে তোলে বিজেপি। সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বললেন, ‘‘জওহরলাল নেহরু সাহায্য করাতেই ভারতের জায়গায় রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছিল চিন। সেই ফল এখন ভুগতে হচ্ছে ভারতকে।’’
China wouldn't be in UNSC had your great grandfather not 'gifted' it to them at India’s cost.
India is undoing all mistakes of your family. Be assured that India will win the fight against terror.
Leave it to PM Modi while you keep cosying up with the Chinese envoys secretly. https://t.co/lAyp12CXBD
— BJP (@BJP4India) March 14, 2019
বিজেপির পক্ষ থেকে টুইটে রাহুলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ‘কোনও দেশের বিদেশ নীতি টুইটারে ঠিক হয় না। আপনার প্রপিতামহ যদি পাশে না থাকতো তাহলে আজ চিন নিরাপত্তা পরিষদে যেতে পারতো না। আপনার পরিবারের গুচ্ছ গুচ্ছ ভুলের খেসারত আজ গোটা দেশকে দিতে হচ্ছে। জঙ্গিদের নির্মূল করার কাজটা মোদীর ওপরে ছেড়ে দিন। আর আপনি চিনকে নিয়েই থাকুন।’