শ্রীনগর : একের পর এক সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন সেক্টরে গোলাগুলি ছুড়ে চলেছে পাক রেঞ্জার্স। পাল্টা জবাব দিচ্ছে ভারতও।
বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্ত লাগোয়া রাজৌরিতে একই দিনে পর পর তিন বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাক সেনা। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ভোর সাড়ে চারটে থেকে নৌশেরা ও সুন্দরবনিতে মর্টার হামলা চালায় পাক সেনারা। সেনা চৌকি ও বসতি এলাকা লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছুড়তে থাকে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট দেবেন্দ্র আনন্দ জানান, ভোর থেকে গুলি ও মর্টার ছুড়ছিল পাক সেনারা। বেলা বাড়তেই হামলার বেগ বাড়ে। ভারতীয় সেনাও যোগ্য জবাব দিয়েছে। মঙ্গলবারও নৌশেরা ও পুঞ্চের কৃষ্ণঘাঁটি লক্ষ্য করে গোলাগুলি ছোড়ে পাক সেনারা। ওই দিন রাজৌরিতে এক সেনা আহত হন। যদিও বুধবারের হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। গোলা বিনিময়ের ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। এলওসি-র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিন বিকেল দিকে টুইট করে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় পাকিস্তানকে। ইমরান খানের দেশকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের উপর হামলার ফল ভালো হবে না। সেনাবাহিনী বলেছে, আমরা পেশাদার। সবসময় চেষ্টা করি যাতে নিরীহ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমরা সবসময় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ করে আক্রমণ চালিয়েছি। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ” আমরা পেশাদার। সবসময় চেষ্টা করি যাতে নিরীহ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আমরা সবসময় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি লক্ষ করে আক্রমণ চালিয়েছি।সেনার বক্তব্য, গত ২৪ ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে পাকিস্তানের হামলার পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এরপরই সেনার হুঁশিয়ারি,”নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের উপর টার্গেট করবেন না। তার ফল যে ভালো হবে না।” সেনাবাহিনীর বক্তব্য, পেশাদার হিসেবে তারা সবসময় সাধারণ মানুষকে রক্ষা করে এগিয়ে চলতে চায়। তাদের লক্ষ্য শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সন্ত্রাসবাদীদের শেষ করা। অবশ্যই তা লোকালয় থেকে দূরে এবং সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না করে।
শনিবারেই জম্মুর হোয়াইট নাইট কোর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আবহে সীমান্তের প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখে আসেন তিনি। রবিবারে জম্মুর আন্তর্জাতিক সীমান্তে সাম্বা ও রত্নুচকেও গিয়েছিলেন তিনি। পাকিস্তান হামলা চালালে সেনাও যে সর রকম জবাব দিতে প্রস্তুত সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।