#লাহোর: পাকিস্তানের বারে বারেই আক্রমণের নিশানায় থেকেছে সুফি দরগা। রোজার মাস শুরু হতে ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোরের পঞ্জাব প্রদেশের অতি প্রাচীন দাতা দরবার দরগা। বুধবার সকালে দরগার মূল প্রবেশ দ্বারের বাইরে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী দলের তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম অন্তত ১৫। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, পঞ্জাব পুলিশের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। মৃতদের মধ্যে চারজন পুলিশকর্মী রয়েছেন।বিস্ফোরণের পর ঘিরে ফেলা হয়েছে সমস্ত এলাকা। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। সেনা ও পুলিশের যৌথবাহিনী মিলিতভাবে তল্লাশি চালাচ্ছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাহোর পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক গাজানফার আলি বলেছেন, ‘‘বিস্ফোরণের সময় দরগার ভিতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন। দরগার বাইরে পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদেরই মূলত টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে তার তদন্ত চলছে।’’ একই মত পুলিশ আধিকারিক মহম্মদ কাশিফেরও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে এটা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ছিল। তবে তদন্ত চলছে। বিস্ফোরণ স্থল পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ’’
দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি পঞ্জাব প্রদেশের এই দাতা দরবার দর্গা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দরগাগুলির মধ্যে একটি। রমজান মাসে প্রায় প্রতিদিনই শতাধিক মানুষের ভিড় হয় এই দরগায়। ২০১০ সালে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে দাতা দরবার দরগায় প্রাণ যায় ৪০ জনের। এর আগে ২০১৭ সালে সিন্ধুপ্রদেশের সেহওয়ানে সুফি সন্ত লাল শাহবাজ কালান্দরের দরগায় আত্মঘাতী হামলায় মৃত্য়ু হয়েছিল শতাধিক মানুষের। করাচি থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে সেহওয়ানের এই দরগায় সে দিন সুফিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। প্রথমে দরগার গেটে গ্রেনেড হামলা চালায় আত্মঘাতী জঙ্গি, পরে ভিতরে ঢুকে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। এই দরগাতেই এর আগে ২০০৫-এ জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হন প্রায় ১৫০ জন।