নয়াদিল্লি: ভােটের নিঘণ্ট শুনিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনীতির ময়দানে থাকা নেতারা অনেকেই টিকিট পাওয়ার জন্য ছােটাছুটি শুরু করেছেন। এর মাঝে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমােহন সিং এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়াব জানিয়েদিলেন তার ভােটে লড়ছেন না। অমৃতসর থেকে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রাজ্য কংগ্রেসের তরফে মনমােহন সিংকে আনুরােধ করা হয়েছিল। তবে তিনি ভােটে লড়তে ইচ্ছুক নন। দলীয় সূত্রের খবর এমনটাই।
মনমােহন সিংহকে লড়ার অনুরােধ জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতৃত্ব। তিনি অমৃতসর থেকে ভােটে দাঁড়ালে রাজ্যবাসী খুশি হবেন বলেও জানিয়েছিল দল। কিন্তু সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, দলকে ইতিবাচক উত্তর দেননি ছিয়াশি বছরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বিকেল ৫টায় পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তামরিন্দর সিংহ, রাজ্যের দলীয় | প্রধান সুনীল জাখর ও পঞ্জাবের দায়িত্বে থাকা সাধারণ সম্পাদক তাশা কুমারী মনমােহনের বাসভবনে দেখা করেন। অমৃতসর থেকে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুরােধও করা হয়। তবে এই প্রথম নয়। ২০০৯ লােকসভা নির্বাচনেও ভগ্ন স্বাস্থ্যের কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হননি তিনি। ২০১৪ লােকসভা নির্বাচনে অমৃতসর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন আর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, যদিও অমরিন্দর সিংহের কাছে পরাজিত হন তিনি। এই অমরিন্দর সিংই বর্তমানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৯১ থেকে তাসমের রাজ্যসভার সাংসদ মনমােহন সিংহ। চলতি বছরের ১৪ জুন তাঁর রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাসমে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে মনমােহন সিংহকে পুনর্নির্বাচিত করার মতাে সংখ্যা নেই কংগ্রেসের। সে ক্ষেত্রে তাল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমােক্র্যাটিক ফ্রন্টের মতাে দলের সমর্থন নিতে হবে কংগ্রেসকে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ দিল্লি থেকে লড়েছিলেন মনমােহন। সে বারে তিনি বিজেপির ভি কে মলহােত্রার কাছে পরাজিত হন।
অন্যদিকে, রাজনীতিতে এক বর্ণময় চরিত্র শরদ পাওয়ার। দীর্ঘকাল ফুল ফর্মে ছিলেন তিনি। তাঁর অফফর্ম বলে কিছু ছিল না।পওয়ার দীর্ঘকাল যাবৎ বারামতী লােকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসছেন। কংগ্রেসই হােক কিংবা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস, যে দলের হয়েই দাঁড়ান, বারামতী তাঁর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেছে।কিছুদিন আগে শােনা গিয়েছিল, পশ্চিম মহারাষ্ট্রের মাধা লােকসভা কেন্দ্র থেকে ভােটে দাঁড়াচ্ছেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। সােমবার এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পওয়ার। পরে তিনি বলেন,’আমি বাড়ির লােকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবাই বলল, পরের প্রজন্মকে সুযােগ দেওয়া উচিত।’ পার্টির অনেক নেতা চান, শরদ পাওয়ারের ভাইপাে পার্থ পওয়ার মাভেল কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন।
পওয়ারের রাজনৈতিক সন্ন্যাসের খবর কেবল এনসিপি নয়, বিরােধী জোটের কাছেও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।তবে ভােটের নির্ঘণ্ট ঘােষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শরদ পাওয়ার জানিয়ে দিলেন তার রাজনৈতিক অবসরের কথা। তাই এটিকে নিছক জল্পনা বলে উড়িয়ে দেওয়ার জায়গা নেই।
কেউ কেউ এমনও বলছেন হয়ত সমর্থকদের চাপে এবম বিরােধী জোটের অনুরােধে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন এনসিপি সুপ্রিমো।