#নয়াদিল্লি: শপথগ্রহণের আগে হবু মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই বার্তা পৌঁছে দিতে এবং বিকেল সাড়ে চারটের সময়ে এই বৈঠকে হাজির থাকার জন্য হবু মন্ত্রীদের ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, আপাতত রাজ্যের দু’জনের কাছে ফোন গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সে দিকেই চোখ গোটা দেশের। তবে শুধু মোদী নন, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, সেই নিয়েও কৌতূহল বিস্তর দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যেই অরুণ জেটলি জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যের কারণে তিনি আর মন্ত্রিসভায় থাকতে চান না। শপথ গ্রহণের আগে বৈঠকে বসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ। জানা গিয়েছে, বৈঠকের পর নিজেই সম্ভাব্য মন্ত্রীদের ফোন করার কথা বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের। কারা কারা এখনও পর্যন্ত সেই ফোন পেলেন?
সূত্রের খবর, বৈঠক শেষ হওয়ার পর ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে ফোন করেছেন শাহ। তাঁরা হলেন, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, নির্মলা সীতারমণ, স্মৃতি ইরানি, সদানন্দ গৌডা, গিরিরাজ সিং, অর্জুন মেঘওয়াল, কিরেন রিজিজু, রবি শঙ্কর প্রসাদ, পীযূষ গোয়েল, ভূপেন্দ্র যাদব, প্রকাশ জাভরেকর, রামদাস অটওয়ালে, জিতেন্দ্র সিং, সুরেশ অঙ্গদি, কৈলাশ চৌধুরী, প্রহ্লাদ জোশী, জি কিষাণ রেড্ডি, ধর্মেন্দ্র প্রধান, মুখতার আব্বাস নকভি, হরসিমরত কউর বাদল প্রমূখ। বাংলা থেকে এখনও ফোন করা হয়েছে দু’বারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ও এ বার ভোটে রায়গঞ্জ থেকে জয়ী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে। শপথ গ্রহণের আগে বিকেল ৫টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন এই সম্ভাব্য মন্ত্রীরা। তারপরেই সেখান থেকে রাইসিনা হিলসে শপথ নিতে যাবেন তাঁরা।
একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হলেও, শরিকদেরও সমঝে চলতে হবে বিজেপিকে। কারণ আগামী এক থেকে দেড় বছর একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। অনেক রাজ্যেই শরিকি সাহায্য প্রয়োজন বিজেপির। ফলে তাদের দাবিও মানতে হবে মোদী-শাহকে।