ওয়াসিংটন: শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ, তিনটি অভিজাত হোটেল, কলম্বো এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ভয়াবহ ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় চার শতাধিক। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইটে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
ভয়াবহ এই নাশকতার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে গোটা বিশ্ব। শ্রীলঙ্কাবাসীকে সমবেদনা জানাতে টুইট করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আর সেখানেই এক মস্ত গণ্ডগোল করেছেন তিনি। নিজের টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩৮ মিলিয়ন লোক! মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই টুইটের পরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কড়া ভাষায় নিন্দা করে টুইটারিয়ানরা বলেছেন, “এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আগে প্রেসিডেন্টের আর একটু সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। কী ভাবে এমন ভুল করলেন তিনি?” অনেকেই আবার বলেছেন, “ট্রাম্প বোধহয় ঠিক করে সংখ্যা গুনতেও জাননে না। তফাত বোঝেন না শূন্যেরও। সে জন্যেই ১৩৮ জন (সে সময়ে নিহতের সংখ্যা) আর ১৩৮ মিলিয়ন গুলিয়ে ফেলেছেন।“ সমালোচনার মুখোমুখি হতেই ওই টুইটটি মুছে দিয়ে নতুন একটি টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে সংখ্যা সংশোধন করে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের কবলে পড়া শ্রীলঙ্কার মানুষের পাশে থাকার কথা জানান।
তবে এমন বিতর্কিত টুইট এই প্রথমবার করেননি ট্রাম্প। সম্প্রতি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে প্যারিস শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্য নোতর দাম গির্জা। আগুনের লেলিহান শিখা ছারখার করে দিয়েছিল এই দর্শনীয় স্থানের একটা বড় অংশ। প্রায় ৮০০ বছরের পুরনো মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের এ হেন করুণ দশায় হাহাকার পড়ে গিয়েছিল গোটা প্যারিস জুড়ে। কিন্তু সেই পরিস্থিতেও চান মেজাজে টুইটারে হাজির হয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। লিখেছিলেন, ‘বিধ্বংসী আগুনের কবলে প্যারিসের নোতর দাম ক্যাথিড্রাল। দাউ দাউ করে জ্বলছে শতাব্দী প্রাচীন গির্জা। এই দৃশ্য দেখা সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার। আমার মনে হয় যদি উড়ন্ত ট্যাঙ্ক থেকে জল ঢালা যেত, তাহলে কাজ হত অনেক তাড়াতাড়ি।’’ সে বারও ট্রাম্পের টুইট প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।