#নয়াদিল্লি: লোকসভার স্পিকার পদে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সাংসদদের উদ্দেশ্য সাফ বার্তা দিলেন ওম বিড়লা। নবনির্বাচিত স্পিকার জানিয়ে দিলেন, সংসদের নিম্নকক্ষে আর কোনও ধর্মীয় স্লোগান বরদাস্ত করা হবে না। একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির। তাই এটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই চালানো উচিত। সংসদ স্লোগান দেওয়া বা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর জায়গা নয়।”
বুধবার সংসদে প্রথম ভাষণ দিতে গিয়েই বিড়লাকে স্লোগানের ব্যাপারে মনে করিয়ে দেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, “বহুদলীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সংসদ ভবনে কোনো ভাবেই ধর্মীয় স্লোগান দেওয়া উচিত নয়।” এই প্রসঙ্গে বিড়লা বলেন, “আমি সব সময় মনে করি সংসদ ভবন গণতন্ত্রের মন্দির। আর এই মন্দিরের নির্দিষ্ট অনেক নিয়ম আছে। আমার মনে হয় স্লোগান দেওয়া, ওয়েলে এসে বিক্ষোভ দেখানো বা পোস্টার দেখানোর জায়গা সংসদ ভবন নয়। এর জন্য আলাদা জায়গা আছে। সরকারি-বিরোধী একে ওপরকে আক্রমণ করতেই পারে, কিন্তু সব কিছুর নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।আমি সব সাংসদকে অনুরোধ করেছি, দয়া করে সংসদের ঐতিহ্যকে কালিমালিপ্ত করবেন না।” তবে বিরোধীদের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া সরকারের কর্তব্য, এমনও মনে করেন বিড়লা।
নতুন সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠানে নজিরবিহীন নাটক দেখেছে গোটা দেশ। একের পর এক সাংসদ শপথবাক্য পাঠ করার পর ধর্মীয় বা রাজনৈতিক স্লোগান দিয়ে গিয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত শাসক শিবির থেকেই। হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এবং ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী যখন শপথ নিতে যান তখন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া শুরু করেন বিজেপি সাংসদরাই। তৃণমূল সাংসদদের উদ্দেশেও জয় শ্রীরাম ধ্বনি তোলেন সরকারপক্ষের সাংসদরা। পালটা, তৃণমূল সাংসদরা জয় হিন্দ, জয় বাংলা স্লোগান তোলেন। ওসাদুদ্দিন ওয়াইসির মতো সাংসদরা মুসলিমদের ধর্মীয় স্লোগান দিতে থাকেন। সংসদীয় রাজনীতিতে এই দৃশ্য বেনজির। যা নিয়ে বেশ উষ্মায় রাজনৈতিক মহল। স্পিকার নির্বাচনের দিন বিধানসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরিও এ প্রসঙ্গে সরব হন। এরপরই স্পিকার ওম বিড়লা সাফ জানিয়ে দেন, লোকসভায় কোনওরকম স্লোগান দেওয়া বরদাস্ত করা হবে না।