নিউজ কর্নার ওয়েব ডেস্ক: ওটমিল বা ওটস ব্রেকফাস্টে খাওয়া হয় পৃথিবী জুড়ে। বিশেষ করে ওজন কমাতে চান যারা, তারা চিনি মেশানো সিরিয়াল বা পাউরুটি বাদ দিয়ে ওটস বেছে নেন। ওটমিল রান্না করতে খুবই কম সময় লাগে, এমনকি রাত্রেই তৈরি করা যায়, আর এতে দরকার হয় না এক ফোঁটা তেলও। এতে ক্যালোরি থাকে খুব কম, ১০০ গ্রাম ওটমিলে থাকে ৬৮ ক্যালোরি।
এতে ডায়েটারি ফাইবার অনেক বেশি থাকে, ফ্যাট থাকে না বললেই চলে। এতে বেশি পরিমাণে আছে পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি-৬। ওজন কমানোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এটা উপকারী।অনেকে অবশ্য ওটমিল খেতে পছন্দ করেন না, নেহায়েতই মুখ তেতো করে খেয়ে নেন ওজন কমানোর আশায়। কিন্তু আপনি খুব সহজেই কিছু উপায়ে ওটমিলকে করে তুলতে পারেন আরও সুস্বাদু এবং আরও স্বাস্থ্যকর!
১) ডিম যোগ করুন:
ওটমিলে একটা ডিম দিয়ে দিলে খুব সহজে তাতে প্রোটিন যোগ হয়ে যাবে। ওটমিল তৈরি করার সময় বিট করা ডিম যোগ করুন এবং নেড়ে নিন। এতে ওটমিলের আঠা আঠা ভাবটা চলে যাবে। খাওয়ার আগে এতে কিছু সবজিও দিতে পারেন। এ ছাড়া ওটমিলের ওপর দিতে পারেন পোচ করা বা সেদ্ধ ডিম।
২) ডার্ক কোকো পাউডার বা কফি পাউডার যোগ করুন:
ওটমিল তৈরির সময় এতে অল্প করে ভালো মানের কোকো পাউডার বা ইনস্ট্যান্ট কফি পাউডার যোগ করতে পারেন। এতে ওটমিলের স্বাদটা যেমন বাড়বে তেমনি আপনার মন ও শরীর চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
৩) মশলা দিন:
ওটমিল মিষ্টি হোক বা নোনতা, এতে কিছু মশলা দিলে স্বাদটাই পাল্টে যাবে। ওটমিল তৈরির সময় এতে এক টুকরো দারুচিনি দিয়ে দিন, বা তৈরির পর এর ওপর অল্প করে দারুচিনি গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। এভাবে খেতে পারেন মিষ্টি ওটমিল। এ ছাড়া নোনতা ওটমিল বা ওটসের খিচুড়িতে সহজেই দিতে পারেন হলুদ, লবঙ্গ, আদা, জায়ফল, এমনকি জাফরান।
৪) ক্যারামেলাইজড ফ্রুট:
অল্প পরিমাণে ব্রাউন সুগার গলিয়ে নিন ফ্রাইপ্যানে, এতে কয়েক স্লাইস আপেল, কলা, নাশপাতি বা আনারস নেড়ে নিন। এরপর এই ফল দিয়ে খেতে পারেন ওটমিল। স্বাদে মুগ্ধ হয়ে যাবেন।