সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণের রায় আজ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলার রায় ঘোষণা হবে আজ। ২০০৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সমঝোতা এক্সপ্রেসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে মোট ৬৮ জনের মৃত্যু হয়।যার মধ্যে ৪৩ জন ছিলেন পাকিস্তানের বাসিন্দা। ১০ জন ভারতীয় এবং ১৫ জনের পরিচয় স্পষ্ট হয়নি।

আটারি সীমান্ত দিয়ে ট্রেনটি দিল্লি থেকে লাহোর যাচ্ছিল।বিস্ফোরণটি ঘটে ছিল হরিয়ানার পানিপথ জেলার দিওয়ানা রেলস্টেশনে। বিস্ফোরণের বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই মারাত্মক ছিল যে পাশের ট্রেন গুলিতে আগুন লেগে যায়। দীর্ঘদিন ধরে এর তদন্ত চলে। ২০১০ সালে এই তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএকে। পাঁচকুলার স্পেশাল এনআইএ কোর্টে মামলার শুনানি চলে। সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ২৯০ জন সাক্ষীপ্রমাণ দেন ৷ তবে, পরবর্তী সময়ে এদের মধ্যে ৩০ জন নিজেদের মত পরিবর্তন করে ৷ এনআইএ প্রথমে ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় ২০১১ সালের ২০ জুন। এই পাঁচজনের নাম হল সুনীল যোশী, স্বামী অসীমানন্দ ওরফে নব কুমার সরকার, লোকেশ শর্মা, সন্দীপ ডাংগে, রামজি ওরফে রামচন্দ্র কালসাংরা।
উল্লেখ্য, মক্কা মসজিদ বিস্ফোরণ এবং আজমির দরগা বিস্ফোরণে অভিযুক্ত ছিল স্বামী অসীমানন্দ। তবে এই দুটি অভিযোগ থেকে অব্যাহতি মিলেছে। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে খুন হয়ে যায় সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুনীল যোশী। খোঁজ মেলেনি সন্দীপ ডাংগে ও রামচন্দ্র কালসাংরার।অভিযোগ রয়েছে, ২০১০- এ স্বামী অসীমানন্দ স্বীকার করেছিল এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাকে অসীমনন্দ জানিয়েছিল যে, মুসলিমদের সন্ত্রাসের বদলা নিতেই এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। যদিও পরবর্তীকালে অসীমনন্দ তা অস্বীকার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণে সিমির হাত রয়েছে। কিন্তু পরে জানা যায় এতে হাত রয়েছে কট্টর দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠনের। বিস্ফোরণ ঘটাতে
আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest