সর্বত্র ক্যামেরা বসিয়েছেন মোদী, কংগ্রেসকে ভোট দিলেই জেনে যাবেন, হুমকি বিজেপি বিধায়কের

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আহমেদাবাদ: ভুয়ো হুমকি দিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার তালিকাটা আরও একটু লম্বা হল। এবার অভিযুক্ত গুজরাতের বিজেপি বিধায়ক রমেশ কাটারা। নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনতার উদ্দেশে গুজরাতের এই বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, ‘‘মোদী সব জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছেন, বিজেপিকে ভোট না দিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দিলেই আমরা জানতে পারব।’’ মঙ্গলবারই তাঁকে ক্যামেরার সামনে এই মন্তব্য করতে দেখা যায়। ঘটনা সামনে আসার পরই প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অভিযোগ জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও।

গুজরাটের ফতেপুরের বিজেপি বিধায়ক‌ রমেশ কাটারা দাহুদ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন। তিনি মঙ্গলবার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন ‘‌এবারের ভোটে মোদিজি বুথের ভিতর ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন। তাই কেউ যদি কংগ্রেসে ভোট দেন, তাহলে তা ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়ে যাবে। এখন আধার কার্ড, প্যান কার্ড সর্বত্র মানুষের ছবি দেওয়া থাকে। তাই কংগ্রেসকে ভোট দিলেই সেই ছবির সঙ্গে মিলিয়ে ভোটারকে চিহ্নিত করা যাবে। মোদীজি দিল্লি থেকেই প্রতিটি পোলিং বুথের উপর নজর রাখবেন ৷ যেসমস্ত এলাকা থেকে বিজেপির পক্ষে ভোট কম পড়বে ৷ সেই সমস্ত এলাকায় সরকারি প্রকল্পের সূচনা বন্ধ করা হবে ৷ সেইজন্যই ভোটারদের উচিত বিজেপিকে ভোট দেওয়া।’‌  সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় সেই হুমকির ভিডিও। এই মুহূর্তে দাহোদ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ যশবন্ত সিংহ ভাভোর। তাঁর সমর্থনে খোদ বিজেপি বিধায়কের এই খোলা এবং ভুয়ো হুঁশিয়ারিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের তরফে লালুপ্রসাদ টুইট করেছেন, ‘‘অসহায় ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভোটে এই ধরনের হুমকির প্রভাব পড়বে।’’

অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও ভোটারদের ভয় দেখিয়ে প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটেছে। উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী হুমকি দিয়েছিলেন মুসলিম ভোটারদের। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, মুসলিমদের সমর্থন ছাড়াই তিনি ভোটে জিতবেন। যে মুসলিমরা তাঁকে ভোট দেবেন না, তাঁরা কোনও সুবিধা পাবেন না বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। অন্য আরেকটি ঘটনায় উত্তরপ্রদেশেরই পিলিভিটে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন মানেকা। নিজের ছেলে বরুণ গান্ধীর নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘যে গ্রাম থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পাবো, তা গ্রেড এ পর্যায়ে ফেলা হবে। ৬০ শতাংশ পেলে গ্রেড বি, ৫০ শতাংশ পেলে গ্রেড সি আর তার কম হলে সেই গ্রামকে ফেলা হবে গ্রেড ডি পর্যায়ে।’’ যে গ্রাম থেকে যে রকম ভোট আসবে, তার ভিত্তিতেই উন্নয়নের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest