নয়াদিল্লি: যে রাজনীতিকরা আইন ভাঙছেন, তাঁকে আইন মানতে বাধ্য করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেকথা জানে বলে মনে হয় না। এই বলে সোমবার কটাক্ষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিল, আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তিনদিন ভোটের প্রচার করতে পারবেন না। বিএসপি নেত্রী মায়াবতীকেও একই অভিযোগে দু’দিন প্রচার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
ভোটের মরসুমে রাজনীতিকদের ঘৃণা ভাষণ নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন হরপ্রীত মনসুখানি নামের এক প্রবাসী ভারতীয়। তাতে ধর্ম ও জাতি বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের জন্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আর্জি জানান তিনি। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার নির্বাচন কমিশনকে তিরস্কার করে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। না ঘুমিয়ে তাদের কর্তব্য পালন করার কথা বলে শীর্ষ আদালত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ভাবে তিরস্কৃত হওয়ার পরেই তড়িঘড়ি নড়েচড়ে বসে কমিশন। সঙ্গে সঙ্গে এই শাস্তির ঘোষণা করে তারা।
ভোটের প্রচারে বেরিয়ে ঘৃণা-ভাষণের জন্য যোগী এবং মায়াবতীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে প্রচারে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বসাল কমিশন। ১৬ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যোগী আদিত্যনাথের প্রচারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন। ওই একই সময় থেকে মায়াবতীর উপর নিষেধাজ্ঞা বসেছে ৪৮ ঘণ্টার। ওই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কোনো জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন না তাঁরা। সাক্ষাৎকার দিতে পারবেন না সংবাদমাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।