নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই একের পর এক মামলা দায়ের হত শুরু করে তৃণমূল-ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের বিরুদ্ধে। গত ২৭ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা চারটি মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, আগামী ছ’সপ্তাহ বাঁকুড়ায় ঢুকতে পারবেন না তিনি। যদিও শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে এই রায়ের পুনর্বিবেচনা করে দেখার আবেদনে সাময়িক স্বস্তি মিলল সৌমিত্রর।
শুক্রবার এই আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সৌমিত্রকে এক দিনের জন্য বাঁকুড়ায় প্রবেশের শর্তসাপেক্ষ অনুমতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বলা হয়েছে, মাত্র এক দিনের জন্য তিনি বাঁকুড়ায় প্রবেশ করে নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা করতে পারবেন। তবে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, তাঁর বাঁকুড়ায় প্রবেশের উপর হাইকোর্টের যে সমস্ত বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা শিথিল করতে হাইকোর্টের কাছেই আবেদন করতে হবে।
আগামী ১২ মে, ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ বিষ্ণুপুরে। সেখানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার তারিখ ১৬ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মধ্যেই যে কোনো একদিন সৌমিত্র বাঁকুড়ায় প্রবেশ করতে পারবেন বলেই তাঁর আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, বছরের শুরুতেই তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়া সত্ত্বেও চাকরি পাইয়ে না-দিতে পারার অভিযোগে মামলা করেন সম্পর্কে পিসতুতো ভাই প্রশান্ত মণ্ডল। তিনি অভিযোগে বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষকতার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেন সৌমিত্র। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি পাইয়ে দিতে পারেননি। এর পরই চলতি বছরের শুরুর দিকে তাঁর বিরুদ্ধে বড়জোড়া থানায় এফআইআর দায়ের হয়। ওই মামলা-সহ আরও বেশ কয়েকটি মামলার শুনানিতে গত ২৭ মার্চ হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি মনজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর বাঁকুড়ায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নিজের কেন্দ্র বিষ্ণুপুর তথা সমগ্র বাঁকুড়া জেলাতেই ঢোকার অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন সৌমিত্র। তাঁর বাঁকুড়া প্রবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী।