Site icon The News Nest

হরকত জঙ্গি প্রধানকে দলে আশ্রয় দিলেন ইমরান খান

maulana fazlur rehman khalil 20090907 1

ইসলামাবাদ: ফের পাকিস্তান সরকারের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হল। এদিকে পাকিস্তান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে অন্যদিকে জঙ্গী সংগঠনের নেতাকে ইমরান খান ঠাঁই দিচ্ছেন তার রাজনৈতিক দলে।মাওলানা ফজলুর রহমান খলিল ইমরান খানের দলের নাম লেখানোর পর থেকে বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়েছে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা নিয়ে নতুন অভিযোগ। হরকত উল মুজাহিদিন জঙ্গী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ফজলুর রহমান খলিলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছে। তার সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। আগেই সব কিছু জেনেও ইমরান খানের দল পিটিআই সাদরে অভ্যর্থনা করেছে এই জঙ্গি সংগঠনের নেতাকে।

ইমরানের দলের বর্ষীয়ান নেতা আসাদ উমার ফেসবুকে জানিয়েছেন, হরকাতুল মুজাহিদীন নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান খলিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যে অভিযান এর কথা বলা হচ্ছে তা কি নেহাতই লোকদেখানো। ভারতের প্রথম দিন থেকেই সন্দেহ ছিল এমনটাই হতে চলেছে। এই জঙ্গী সংগঠনের বেশ কিছু নেতা ইমরান খানের দলের হয়ে ভোট প্রচার করেছেন। যে জঙ্গী সংগঠনের নেতারা ইমরানের দলের হয়ে ভোট প্রচার করেন তারা যে ইমরানের শাসনে খুশিতে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। তাছাড়া মাসুদ আজহারের ভাই সহ
৪৪ জনের প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন অর্থাৎ রক্ষণমূলক আটক যে লোকদেখানো তাও আর একবার প্রমাণ হয়ে গেল।এই সন্ত্রাসীদের আসলে এতদিন পাকিস্তান অন্যভাবে লালন করেছে।আশঙ্কার কথা হল এবার তারা রাজনৈতিক দলের ছায়ায় বাড়তে থাকবে। এই বিষয়টি গভীরভাবে ভাবাচ্ছে নয়াদিল্লিকে।

যেভাবে পাক সরকার খলিলকে সাদরে অভ্যর্থনা করেছে তারপর ইমরান সরকারের ওপর বাড়তি আশা করা উচিত হবে না বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। ইমরান এ মুহূর্তে যা করছেন তা আসলে কূটনৈতিকভাবে ভারতকে চাপে ফেলার রাজনীতি। সে রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি সোশ্যাল সাইট -এর আশ্রয় নিচ্ছেন। নিজেকে ক্রমাগত প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে নিরন্তর প্রচার চালিয়ে বোঝাতে চাইছেন পাকিস্তান আমূল বদলে গিয়েছে। কিন্তু এই বদল যে নেহাতই লোক দেখানো তা মাঝে মাঝে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাক সরকারের আচরনে। যারা হরকাতুল মুজাহেদীনের মত জঙ্গি সংগঠনের মাথাকে রাজনৈতিক দলে ঠাঁই দিতে পারে, তাদের শান্তির বার্তা প্রচার নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। ইমরান খান জঙ্গি নেতাদের রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে অন্য খেলা খেলতে চাইছেন তা স্পষ্ট। তবে একথা ঠিক যে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সাঈদ আগেই গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে পাকিস্তানের আমআদমি বুঝিয়ে দিয়েছে জঙ্গির প্রতি তাদের কোন সমর্থন নেই। জামানত জব্দ হয় হাফিজ সাঈদের। যা থেকে স্পষ্ট যে পাকিস্তানের আম আদমিও জঙ্গিপনা দেখে ক্লান্ত। যদি তা না হত তাহলে অন্তত একটি আসন পেত হাফিজ সাঈদ।

ভারতের কাছে এখন সবথেকে উদ্বেগের বিষয় হল,ইমরানের জমানায় জঙ্গিরা তার রাজনৈতিক দলের আশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে।যার অর্থ হলো এবার থেকে প্রকাশ্যে তাদের সহায়তা করবে সরকার। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, এরপরেও তাদের অপরাধ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায় না। যে অপরাধ তারা করেছে তার শাস্তি পেতেই হবে।

Exit mobile version