ফের একবার স্বাধীনতার লড়াই, ঝাঁপ দেওয়ার ডাক প্রিয়াঙ্কার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

গান্ধীনগর : কংগ্রেস নেতা হিসাবে প্রথম নির্বাচনী ভাষণ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বড়রা। মঙ্গলবার মোদীর গড়ে দাঁড়িয়ে জনগণের কাছে তাঁর আবেদন, ‘ আপনার ভোট একটা গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। সঠিক প্রশ্ন করুন।’ নিজের নির্বাচনী ভাষণে একবার ও নরেন্দ্র মোদীর নাম উল্লেখ করেননি কংগ্রেস নেত্রী। কিন্তু গোটা ভাষণেই তাঁর আক্রমণের নিশানায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

গান্ধীনগরে এদিন কংগ্রেসের সভায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই নির্বাচন আপনাদের কাছে কী অর্থ বহন করছে, তা আপনাদের ভাবতে হবে। আপনাদের ভাবতে হবে এই ভোটে আপনাদের ভূমিকা কী? আপনারা আপনাদের ভবিষ্যৎ স্থির করছেন। এখন যেটা ভাবার, তা হল, আমরা কি প্রগতির পথে যাচ্ছি? কারা কৃষকদের জন্য কাজ করবে, কারা কাজ করবে মহিলাদের সুরক্ষার জন্য? ভাবুন কে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে ১৫ লক্ষ টাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কে আড়াই কোটি চাকরির কথা দিয়েছিল? সেই কথা কি পুরো হয়েছে – তা ভেবে দেখার সময় এসেছে এবার।”

এদিন গান্ধীনগরের সভায় বিশাল বড় কাটআউট লাগানো হয়েছিল প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। সভায় অনেকেই  প্রিয়াঙ্কা দেখে বলে উঠেছেন,’ইন্দিরা আয়ি হ্যায়’। বিজেপিকে আক্রমণ করে কংগ্রেস নেত্রী বলেন, “এই দেশের ভিত সত্যির উপরে দাঁড়িয়ে আছে। ঘৃণার কালো মেঘ এক লহমায় উড়িয়ে দেবে ভালোবাসার ঝড়। এ দেশ প্রেম, সংহতি ও সৌভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে গঠিত। আজ দেশে যা ঘটছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক।”  আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে ‘নয়া স্বাধীনতা সংগ্রাম’ বলে এদিন উল্লেখ করেন রাজীব কন্যা।তিনি বলেন,“ আমাদের সংবিধান আজ আক্রান্ত। সর্বত্র ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। ‘যেদিকেই তাকান দেখতে পাবেন, গণপিটুনি, হত্যা চলছে। এ এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে আপনাদেরই। আর এই যুদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়ে কিছু কম নয়। এই দেশ গড়েছেন কৃষক, শ্রমিকরা। আপনারাই পারেন এই দেশকে রক্ষা করতে।আপনারা এদেশের রক্ষাকর্তা। জোটবদ্ধ হয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে আমাদের। আপনার সচেতনতাই এখন এদেশকে বাঁচাতে পারে। ভোটাধিকার শক্তি প্রয়োগ করুন। এটি অত্যন্ত শক্তিশালী অস্ত্র যা কারোর ক্ষতি করে না।”

মঙ্গলবার গুজরাতের আমদাবাদে বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি।  লোকসভা ভোটের  রণকৌশল ঠিক করতেই দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির এই বৈঠক। সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহ ছাড়াও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। এবার গুজরাটে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভা বসল ৫৮ বছর পর। এর আগে ১৯৬১ সালে গুজরাটের ভাবনগরে কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্যে কংগ্রেসের সভার আয়োজন যে বড়সড় চ্যালেঞ্জ তাতে সন্দেহ নেই। এদিনই প্রথমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় যোগ দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এদিনই কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন হার্দিক প্যাটেল।বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায় মঙ্গলবার যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “নিজের ব্যর্থতা থেকে নজর ঘোরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুকে ব্যবহার করছেন।” একই সঙ্গে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, “সংবিধানের উপর আক্রমণ যেমন হয়েই চলেছে, তেমনই তফশিলি জাতি, তফশিলি জনজাতি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষাকবচও আক্রান্ত হচ্ছে।”

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest