Site icon The News Nest

৪৪ শতাংশ মহাকাশ আবর্জনা বাড়িয়েছে মিশন মহাশক্তি, সমালোচনায় মুখর নাসা

pm modi mission

নয়াদিল্লি: দিনকয়েক আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে মিশন মহাশক্তির কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ রাজনীতি প্রচারের স্বার্থে এই কান্ড করতে হয়েছে তাঁকে।এর পিছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। যদিও নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে মোদীকে। কিন্তু ভারতের এই মিশন মহাশক্তিতে মোটেই খুশি নয় নাসা। মঙ্গলবার গোটা বিষয়টির সমালোচনা করে ভারত সরকারকে তুলোধোনা করা হয়েছে।

মহাশক্তির মিশনের সমালোচনা করে এদিন নাসা বলে, যেভাবে স্যাটেলাইটের ভাঙ্গা টুকরোগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে তা অত্যন্ত বিপদজনক। ভারতের এই মিশন শক্তির ফলে মহাকাশে আবর্জনা ৪৪ শতাংশ বাড়ল। তাদের দাবি প্রায় ৪০০টি টুকরো ভেসে বেড়াচ্ছে যা মহাকাশচারীদের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ। নাসার প্রধান জিম ব্রিডেনস্টিন বলেছেন,‘এস্যাট’ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পৃথিবীর ৩০০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে ভারতীয় উপগ্রহের অন্তত ৪০০টি ধবংসাবশেষের সৃষ্টি হয়েছে। যাদের গতিবেগ ওই উপগ্রহটির মতোই। সেগুলি কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় কোন দিকে ছুটবে বা কার গায়ে গিয়ে ধাক্কা মারবে আর তার ফলে কী হবে, তা কেউই জানেন না। ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই ধবংসাবশেষগুলির মধ্যে ২৪টিকে উপরের দিকে উঠতে দেখা গিয়েছে।তবে সব টুকরোগুলোকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না এই মুহূর্তে যে টুকরো চিহ্নিত করা গেছে সেগুলি সবই ১০ সেন্টিমিটার থেকে অনেকটাই বড়।’’

এর আগেও অবশ্য এমন পরীক্ষা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পরীক্ষা করেছে ১৯৫৯ সালে। ইতিমধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন কক্ষপথে ১০ সেন্টিমিটারের চেয়ে বেশি ব্যাসের ধবংসাবশেষ মিলেছে কম করে ২৩ হাজারটি। যার মধ্যে ৩ হাজার ধ্বংসাবশেষের সৃষ্টি হয়েছিল ২০০৭ সালে, চিনের অ্যান্টি-স্যাটেলাইট পরীক্ষানিরীক্ষার পর।উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ নিজেরই একটি লোয়ার অরবিটের নিষ্ক্রিয় স্যাটেলাইট ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে দেয় ভারতীয় স্যাটেলাইট।৩০০ কিলোমিটার দূরে স্যাটেলাইটটি থেকে মাত্র ৩ মিনিটে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। তা নিয়েই খানিকটা আত্মম্ভরিতার ঢঙে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Exit mobile version