নয়াদিল্লি: গত বছরের স্মৃতিই যেন আবার ফিরে এল। ধুলোঝড়ের তাণ্ডবে দেশ জুড়ে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জনের। অন্য দিকে কারও মৃত্যু না হলেও, ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সোমবার বিকেল থেকে ধুলোঝড় হয়েছে উত্তর ভারতের একটা বড়ো অংশে। দফায় দফায় ধুলোঝড়ে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রকৃতির তাণ্ডবে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। গুজরাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। রাজস্থানে ছয়, পঞ্জাবে তিন এবং উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে ১ জন করে নিহত হয়েছেন। ৷ ঝোড়ো হাওয়া, বৃষ্টিতে গৃহহীন হয়েছে অনেকেই৷ সেই সঙ্গে বেড়েছে আহতের সংখ্যাও৷
নির্বাচনী প্রচারেও বাধ সেধেছে এই ঝড়। গুজরাতের সবরকন্থায় মোদীর সভামঞ্চ ঝড়ের তাণ্ডবে পুরোপুরি লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। এই বিপর্যয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, “এই বিপর্যয় মোকাবিলার সবরকম চেষ্টা করছে সরকার। যাতে সাধারণ মানুষের আর প্রাণহানি না হয়, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।” আরও একটি টুইট করে মোদী জানান, “এই বিপর্যয়ের ফলে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ করে টাকা ও যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে ৫০ হাজার করে টাকা প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে।” তবে এই মুহূর্তে বিপর্যয় এখনও কাটেনি। ফলে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভোটের মধ্যে এই ধরণের বিপর্যয় হওয়ায় চিন্তায় রয়েছে নির্বাচন কমিশনও।
এ দিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রবল কালবৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে উত্তরবঙ্গে এবং উত্তরবঙ্গ লাগোয়া দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে ঝড়ের তাণ্ডব সব থেকে বেশি ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয় বহরমপুরে। তবে ঝড়ের দাপটে কার্যত তছনছ অবস্থা শিলিগুড়ির। বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে গিয়েছে। এর ফলে চরম ভোগান্তি হচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। গাছ পড়েছে কার্শিয়াংয়েও।