ইসলামাবাদ: আন্তর্জাতিক আদালতের রায় মেনে অবশেষে কুলভূষণ যাদববের কনস্যুলার অ্যাকসেসে রাজি হল পাকিস্তান। সোমবার কুলভূষণের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানে ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার গৌরব আলুওয়ালিয়া। ভারত-পাক এই টান টান উত্তেজনার সময় এই কনস্যুলার অ্যাকসেসকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে কূটনৈতিকমহল। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পর দেড় মাসেও পাকিস্তানের নানা টালবাহানায় অনুমোদন মেলেনি। অবশেষে সোমবার সেই কনস্যুলার অ্যাকসেস দিল ইসলামাবাদ।
গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাক্তন ভারতীয় নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবকে। আন্তর্জাতিক আদালত ভারতের পক্ষে রায় দিয়ে কুলভূষণের মামলা ফের শুনানির নির্দেশ দেয় এবং ভারতকে কুলভূষণের কনস্য়ুলার অ্যাকসেস দেওয়ার কথাও বলে। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের পরেও পাকিস্তান জানায় যে ভারতীয় অফিসারে সঙ্গে কুলভূষণের সাক্ষাতের সময় সেখানে কোনও পাক অফিসার উপস্থিত থাকবেন।
পাকিস্তানের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী সম্পূর্ণ কনস্যুলার অ্যাকসেসের দাবি জানায় নয়াদিল্লি। সোমবারই কুলভূষণের সঙ্গে যে ভারতীয় অফিসার দেখা করতে পারবেন, তা রবিবার পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়।
রবিবার পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়সালের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, কুলভূষণ যাদবকে সোমবার ২ সেপ্টেম্বর কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হবে। ‘কনসুলার রিলেশন সংক্রান্ত ভিয়েনা কনভেনশন, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায় এবং পাকিস্তানের আইন মেনে’-এই কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন মহম্মদ ফয়সাল।
ইরান থেকে পাকিস্তানে ঢোকার পর গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০১৬-এর ৩ মার্চ বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। তার পর ২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সামরিক আদালত। ওই সময় ভারতের তরফে জানানো হয়, নৌবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর ইরানে ব্যবসায়িক কাজে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। কনস্যুলার অ্যাকসেস-এর পাশাপাশি কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের আদের পুনর্বিবেচনার নির্দেশও দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত।