অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা সিধুর, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ইস্তফাপত্র

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের বনিবনা তেমন ছিল না। গত মাসে মন্ত্রিসভায় রদবদল করে তাঁকে অন্য মন্ত্রকের দায়িত্ব দিলেও তাতে যোগ দেননি। এ বার পঞ্জাব মন্ত্রিসভা থেকেই ইস্তফা দিলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। রবিবার তাঁর ইস্তফাপত্রটি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিক।

এক লাইনের একটি চিঠিতে কংগ্রেসের বিদায়ী সভাপতি রাহুল গান্ধীকে উদ্দেশ্য করে সিধু লিখেছেন, ‘পঞ্জাব ক্যাবিনেট থেকে আমি পদত্যাগ করছি।’ ওই চিঠিতে লেখা তারিখ অবশ্য চলতি মাসের নয়। গত মাসের ১০ তারিখ তা লেখা হয়েছিল। তবে ঠিক কী কারণে সিধু ইস্তফা দিলেন, তার কোনও ব্যাখ্যা ওই চিঠিতে নেই। প্রকাশ্যে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও নতুন মন্ত্রকের দায়িত্বভার যে তাঁর পদাবনতির সমান, ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটাই জানিয়েছেন সিধু।

২০১৭-তে পঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচনের আগে বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন সিধু। তবে নির্বাচনী প্রচার থেকেই অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে তাঁর বিবৃতির লড়াই চালু ছিল। গত ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরেই অমরিন্দর ও সিধুর মধ্যেকার ফাটল আরও চওড়া হয়৷ লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলের জন্য সিধুকেই দায়ী করেন অমরেন্দ্র। তাঁর মতে, স্থানীয় প্রশাসন দফতরে থেকে নিজের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করাতেই শহুরে ভোটাররা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-বিমুখ হয়েছে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ সিধু। সিধুর মতে, প্রকাশ্যে তাঁর দফতরকে বা তাঁকে এ ভাবে দায়ী করা উচিত নয়। তাঁর দাবি, সারা বছরই তিনি কাজ করে গিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন পঞ্জাবের পর্যটন মন্ত্রী। বলেন, “কেউ যেন না ভাবেন যে আমি সব কথাই মেনে নেব। সবাইকে বলতে চাই যে আমি কেবল পঞ্জাবের জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কারণ, তাঁরা আমাকে ভরসা করেছেন। তাছাড়া আমাকে যে দুটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেখানে ভাল ফল করেছে কংগ্রেস। তা সত্ত্বেও দলের খারাপ ফলের জন্য একমাত্র আমাকেই দায়ী করা হচ্ছে।” এই কারণেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি যাননি বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকা।

Navojyot Singh

সিধুর এই মন্তব্যের কিছুক্ষণ মধ্যেই রাজ্যপালের কাছে স্থানীয় প্রশাসন সংক্রান্ত দপ্তরের দায়িত্ব থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এর বদলে তাঁকে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব৷ তবে সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেননি সিধু৷ বরং জানান, তিনি পঞ্জাবের মানুষের কাছে উত্তর দেবেন৷ অন্য কারও কাছে নয়৷ এদিন সিধু টুইট করে ফের জানান, নিজের পদত্যাগপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও খুব শিগগিরই জমা দেবেন৷

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest