‘অব হোগা ন্যায়’, বিজেপিকে ডিজিটাল টক্কর দিতে ভোটের গান প্রকাশ করল কংগ্রেস

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর ৭ দিন, তার আগে আজই প্রকাশিত হল কংগ্রেসের থিম সং। একই সঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছে দলীয় শ্লোগানও । মূলত ন্যায় প্রকল্পকে হাতিয়ার করেই লোকসভায় ক্ষমতার লড়াইয়ে নামছে কংগ্রেস ও সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দলের শ্লোগান -অব হোগা ন্যায় অর্থাৎ এবার হবে ন্যায় ।

ক্ষমতায় এলে দেশের গরিবতম অংশের পরিবার পিছু বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ন্যূনতম আয় যোজনা বা ‘ন্যায়’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তাতে বিজেপির জাতীয়তাবাদের হাওয়া অনেকটাই কংগ্রেসের দিকে টেনে নিতে পেরেছেন। নির্বাচনী ইস্তাহারেও এই ‘ন্যায়’ প্রকল্পকেই পাখির চোখ করেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি ছিল চাকরি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা প্রতিশ্রুতি। থিম সং এবং স্লোগানেও তারই ছায়া।

এক মিনিটের এই ভোট প্রচারের ভিডিয়োটির গীতিকার জাভেদ আখতার। ভিডিয়োগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন বলিউডের চিত্র পরিচালক নিখিল আডবাণী। মূল উপজীব্য, সমাজের সব শ্রেণির, সব স্তরের, সব বয়সের মানুষ। যাঁদের সঙ্গে গত পাঁচ বছরে বিজেপি তথা মোদী সরকার অন্যায় করেছে। উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে কৃষকের দুর্দশা, বেকারত্ব, মিথ্য প্রতিশ্রুতি, নাম বদলের হিড়িক, নোট বদলের মতো ইস্যু। অর্থাৎ বিজেপির জমানায় ‘অন্যায়’ হয়েছে। এই সব অন্যায়ের বিরুদ্ধেই সব শ্রেণির মানুষকে এ বার ‘ন্যায়’ দেবে কংগ্রেস। সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী আনন্দ শর্মা বলেন, মোদী সরকার কী করেনি তা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে। আমরা সেই বিষয়টিই গানের মাধ্যমে  তুলে  ধরেছি। শুধু মানুষের প্রত্যাশা  পূরণে  ব্যর্থ হওয়া নয় মোদী সরকার সংবিধানের মূল ধারায় আঘাত হেনেছে  বলে  তিনি দাবি করেন।

টুইটারে গানের বিভিন্ন অংশ পোস্ট করেছে কংগ্রেস।বিশাল বিশাল কন্টেনার ট্রাকে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে এই থিম সং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। দলের নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছরে বিজেপি সরকারের অকর্মণ্যতা, ব্যর্থতাই সাধারণ মানুষের প্রধান আলোচনা হয়ে উঠেছে। গরিব-মধ্যবিত্তের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। গরিবদের প্রতি সুবিচার করা হয়নি।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গণতন্ত্রের মূল ভিত্তির উপর আঘাত করা হয়েছে।’’

নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার পর কোনও প্রচার ভিডিও প্রকাশ করার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হয়। পাশাপাশি চূড়ান্ত ভিডিও তৈরির পর কমিশনকে দেখানোও দস্তুর। কমিশনের মিডিয়া সার্টিফিকেশন এবং মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি) সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই তা প্রকাশ করা যায়। আর সেখানেই আটকে গিয়েছিল কংগ্রেসের এই ভিডিও। কমিশন অভিযোগ তুলেছিল, প্রচার ভিডিয়োর একটি অংশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে। তাই ওই অংশ বাদ দিতে বলা হয়। সেই মতো ওই অংশ বাদ দিয়েই ভিডিওটি প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest