বনগাঁ: অসুস্থতার জন্যই সোমবার বনগাঁয় আদিত্যনাথের সভায় দেখা যায়নি তাঁকে। মঙ্গলবার ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ব্যক্তিগত চিকিত্সককে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে অস্বস্তি কাটানোর চেষ্টা করলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর।
সোমবার বনগাঁয় ছিল যোগী আদিত্যনাথের সভা। কিন্তু যে প্রার্থীর প্রচারে সভা তাঁরই খোঁজ মেলেনি সভামঞ্চে। এমনকী দলীয় নেতাদের ফোনও শান্তনু ধরেননি বলে জানা গিয়েছে। এতেই বিজেপির অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, অমিত শাহের আপ্তসহায়কের ফোনও ধরেননি শান্তনু। এই অনুপস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে৷ অনুপস্থিতির নেপথ্যে কেউ কেউ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছায়াও দেখতে পাচ্ছিলেন৷ এব্যাপারে শান্তনুকে ফোন করা হলে তাঁর এক ঘনিষ্ঠ জানান, বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী অসুস্থ। প্রচণ্ড গরমে প্রচারে বেরিয়ে জ্বর ও পেটের সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই তত্ত্বই প্রতিষ্ঠার প্রাণপণ চেষ্টা করেন শান্তনু। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সুখেন্দুনাথ গাইনকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী, ঠাকুরবাড়ির ছোট ছেলে৷ জানান, তাঁর অনুপস্থিতির কারণ অসুস্থতা৷ বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি পেটের অসুখ, ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলেন৷ সোমবার সারাদিন তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছিল৷ এমনকী চিকিৎসক তাঁর সঙ্গে ছিলেন বলেও জানান শান্তনু৷ চিকিৎসকও জানান, এমনিতেই শান্তনুর বেশ কয়েকটি শারীরিক সমস্যা আছে৷ তার মধ্যে টানা রোদে ঘুরে ঘুরে প্রচারের ফলে শরীর বেশ খারাপ হয়ে পড়েছিল গত ১৯ তারিখ থেকে৷ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হয়েছে৷ সে কারণেই ২২ তারিখ যোগী আদিত্যনাথের সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি শান্তনু৷ তাঁর জন্য সভায় যাননি চিকিৎসক সুখেন্দুনাথ গাইনও৷
বরাবরই মতুয়া পরিবারের যে কোনও সভায় অনুষ্ঠানে ডঙ্কা বাজিয়ে, নিশান হাতে জড়ো হন অনুগামীরা। কিন্তু সোমবার তা দেখা যায়নি৷ এনিয়ে প্রশ্ন করায় শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘মতুয়া ভক্তরা নিজেদের রীতি মেনে বাজনা বাজিয়েই সভাস্থল পর্যন্ত যান৷ কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতার কথা শোনার জন্য তাঁরা বাজনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন৷ বোঝাই গেল, অনুপস্থিতি নিয়ে বেশ চাপে পড়েছেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর৷ নাহলে সাংবাদিক সম্মেলন কেন?