ওয়েব ডেস্ক: অ্যাসিডিটি এমন একটি সাধারণ সমস্যা অনেকেই প্রায় দৈনিক ভোগ করেন। অনেকেই পেট ফাঁপা, বুক জ্বালা, গ্যাসের সমস্যা থেকে চটজলদি মুক্তি পেতে অ্যান্ট্যাসিড খেয়ে নেন। কিন্তু এটি শুধুমাত্র কিছুক্ষণের জন্যই উপসর্গগুলি কমাতে পারে এবং অম্লতা থেকে অস্থায়ী মুক্তি দিতে পারে। পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল, সম্প্রতি অ্যাসিডিটি কমানোর জন্য কিছু কার্যকরি টিপস শেয়ার করেছেন।
নিজের পোস্টে, নমামি ব্যাখ্যা করেছেন যে অম্লতা হল শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড উত্পাদনের ফলে সৃষ্ট সমস্যা। খাবারের পাচনের জন্য শরীরের অ্যাসিডের প্রয়োজন হলেও, অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে গ্যাস, অম্লতা, পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং আরও অনেক সমস্যাই দেখা যায়।
বিভিন্ন কারণেই অম্লতা হতে পারে। খাওয়ার ভুল অভ্যাস, মসলাযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার, শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব, চাপ এবং শরীরে জলের অভাব এর কিছু সাধারণ কারণ।
অম্লতা, পেট ফাঁপা এবং অন্যান্য অন্যান্য উপসর্গগুলি হ্রাস করার জন্য কয়েকটি সহজ এবং ঘরোয়া উপায় দেখে নিন;
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান: আপনি কি জানেন যে হজমের প্রক্রিয়া শুরু হয় মুখের মধ্যে থেকেই। সুতরাং, সঠিক হজমের জন্য খাদ্য সঠিকভাবে চিবানো গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে খাদ্য চিবানো না হলে মুখের মধ্যে উৎসেচকের কাজ কমে যেতে পারে। যার ফলে অম্লতার সমস্যা হতে পারে।
এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন: ঠান্ডা দুধ অম্লতা নিয়ন্ত্রণ করার একটি চমৎকার উপায়। দুধ প্রকৃতিতে ক্ষারীয় এবং এইভাবেই তা পেটের মধ্যে pH ভারসাম্য বজায় রাখে।
জোয়ান খান: বাবা-মা এবং ঠাকুমা দিদাদের আমলেরও আগে থেকে এই একটা প্রতিকার বারেবারেই সুপারিশ করা হয়েছে। যখনই গ্যাস, অম্লতা বা পেট ফাঁপার সমস্যা অনুভব করবেন এক গ্লাস জলে আধা চা চামচ জোয়ান দিয়ে ফুটিয়ে নিন, তারপর ছেঁকে নিন, একটু লেবু দিন সামান্য নুন এবং খেয়ে ফেলুন। জোওয়ানের অ্যান্টি অ্যাসিডিক বৈশিষ্ট্য অম্লতা এবং এর লক্ষণগুলি কার্যকরভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করে।
মিন্ট ছাঁচ বা পুদিনা বাটার মিল্ক: পেটের অ্যাসিড হ্রাস করার জন্য মিন্ট ছাঁচ বা বাটারমিল্ক আরেকটি চমৎকার প্রতিকার। পুদিনা চমতকারভাবে অ্যাসিড কমিয়ে ফেলে।
উপরোক্ত প্রতিকারগুলির পাশাপাশি সুস্থ থাকা, প্রাকৃতিক এবং ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াও অম্লতা কমাতে সহায়তা করতে পারে। অ্যান্টাসিডের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে অ্যাসিড রিবাউন্ড হতে পারে। এটি আপনার সমগ্র গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টকেও প্রভাবিত করে।