#নয়াদিল্লি: দ্বিতীয়বার ফের মোদীসরকার। একাই ৩০০ আসন বিজেপির। মোদী-অমিত শাহের ক্যারিশ্মায় কুপোকাত বিরোধীরা। দলের ব্যাপক জয়ের কৃতীত্ব মোদীকেই দিয়েছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী। আজ সকালেই তাঁর বাসভবনে যান নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন ‘সেনাপতি’ অমিত শাহ। বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আডবাণীকে মোদী বলেন, বিজেপির আজকের এই সাফাল্য এসেছে তাঁদের মতো মহান নেতৃত্বের জন্যই। কয়েক দশক ধরে দলের সংগঠন এবং মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য সতেজ ভাবনার সঞ্চার করেছেন তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁদের টিকিট না দেওয়ায় অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশী। ভোটপর্ব মিটতেই অবশ্য সম্পূর্ণ ভিন্ন ছবি। দুই প্রবীণ নেতার আশীর্বাদ নিতে তাঁদের বাড়ি গেলেন বিজেপির জয়ের দুই কাণ্ডারি নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। বিশাল জয়ের জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা জানালেন দুই নেতা। শুক্রবার মোদী এবং অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে উচ্ছ্বসিত মাগদর্শক মণ্ডলীর সদস্য জোশী। সাক্ষাতের পর মোদী বলেন, “তিনি একজন পণ্ডিত এবং বিজ্ঞ ব্যক্তি। ভারতের শিক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বিজেপি এবং কর্মীদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি।” পাশাপাশি আডবাণীর বাসভবনে গিয়েও তাঁর আশীর্বাদ দিয়ে আসেন মোদী এবং শাহ।
আগামী বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদী শপথ নিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে তাঁর আগে ফের একবার বারাণসী সফরে যেতে চলেছেন তিনি। বারাণসীর ভোটারদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য ওই দিন একটি রোড-শোও করতে পারেন তিনি। ২০১৪-য় নমো’র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভুক্ত দেশগুলির প্রতিনিধিরা আমন্ত্রিত ছিলেন। পাকিস্তানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ, শ্রীলঙ্কার সে সময়কার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশালী কৈরালা, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিন উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ধর্মেন্দ্র, অনুপম খের, সলমন খান, বিবেক ওবেরয়ের মত সেলিব্রেটিরাও ছিলেন। তবে, এ বার তেমন কোনও পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে।