নয়াদিল্লি: চলতি সপ্তাহেই এ বারের লোকসভা ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে জাতীয় কংগ্রেস। সিপিএম, তৃণমূল-সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করেছে।লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। আর একেবারে শেষ মুহূর্তে সোমবার অর্থাৎ আজ তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
দল তাদের এই ইস্তেহার পত্রকে নাম দিয়েছে সঙ্কল্প পত্র৷ এখন তাতে কী থাকবে, মোদী সরকার কোন কোন প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরবে তাতে তাই নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে৷জল্পনা অনুযায়ী, বিজেপির এই ইস্তেহারে শুধু প্রতিশ্রুতিই যে তুলে ধরা হবে তাই নয়, সেইসঙ্গে মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ সরকারের কাজের খতিয়ানও থাকবে এতে৷ মুদ্রা যোজনা, উজ্জ্বলা যোজনার মতো বেশ কিছু কাজের প্রতিশ্রুতি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে করেছিল বিজেপি৷ সূত্র মতে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের ৫৫০টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে ৫২০টি পূর্ণ করেছে৷ পাশাপাশি এএও মনে করা হচ্ছে, অযোধ্যা, কাশী, মথুরার জন বিশেষ করিডোরের কথাও ঘোষণা পত্রে যুক্ত করা হবে৷ থাকতে পারে রামমন্দির নির্মাণ থেকে গঙ্গা সহ অন্যান্য নদীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলিও৷
রাজনৈতিক মহলের মতে, উন্নয়ন, রাষ্ট্র এবং হিন্দুত্বের ওপর জোর দেওয়া হতে পারে৷ দরিদ্রদের বার্ষিক ৭২,০০০টাকা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে কংগ্রেস৷ সেই প্রতিশ্রুতিকে টেক্কা দিয়ে নিজেদের সঙ্কল্প পত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কোন পথে বিজেপি হাঁটে সেইদিকেই চোখ রয়েছে সকলের৷রাজনৈতিক মহলের ধারনা কংগ্রেস যেমন দেশের অত্যন্ত গরিব একটি শ্রেণিকে টার্গেট করেছে তেমনি বিজেপিও চাইবে মধ্যবিত্তদের ভোট পেতে। ফলে আজ বিজেপির ইস্তেহারে দেশের কৃষক, যুবা ও মহিলাদের জন্য বড় কোনও ঘোষণা করা হতে পারে।
ইতিহাস বলছে, বরাবর কংগ্রেসের পরই বিজেপি ইস্তেহার প্রকাশিত হয়।
লোকসভা ২০০৪
কংগ্রেস: ২২ মার্চ
বিজেপি: ৮ এপ্রিল
নির্বাচন: ২০ এপ্রিল
লোকসভা ২০০৯
কংগ্রেস: ২৪ মার্চ
বিজেপি: ৩ এপ্রিল
নির্বাচন: ১৬ এপ্রিল
লোকসভা ২০১৪
কংগ্রেস: ২৬ মার্চ
বিজেপি: ৭ এপ্রিল
নির্বাচন: ৭ এপ্রিল
এর মধ্যে সব থেকে বেশি চমকপ্রদ ২০১৪ সালের লোকসভা ভোট। সে বার ন’দফার ভোটগ্রহণের প্রথম দিনে ইস্তেহার প্রকাশ করে বিজেপি। এই ঘটনার পর কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ করা হয়, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্যই ভোটগ্রহণের দিন ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। যে কারণে এ বার ইস্তেহার প্রকাশ নিয়ে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। জানানো হয়েছে, যে কোনো রাজনৈতিক দলকেই প্রথম দফার ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে ইস্তেহার প্রকাশ করতে হবে।