আতঙ্ক কাটিয়ে লখনউয়ের রাস্তায় ক্রেতার খোঁজে কাশ্মীরি ফলবিক্রেতারা

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

লখনউ: কাশ্মীরি বাসিন্দা হওয়া ছাড়া আর কোনও দোষ নেই আফজল নায়েক ও সালাম নায়েকের। কিন্তু ওই একটি “দোষ”-এর কারণেই গেরুয়া দলের দুষ্কৃতীদের হাতে বেড়ধক মার খেতে হয়েছে তাদের। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দুদিন। শুক্রবার থেকে ফের লখনউয়ের রাস্তায় শুকনাে ফল বিক্রি শুরু করেছেন আফজল ও সালাম। যদিও নিজেদের পুরােনাে জায়গা ডালিগঞ্জে ফিরে যেতে পারেনি তারা। কিন্তু তাতে অসুবিধা হয়নি। এদিন অল ইন্ডিয়া ডেমােক্র্যাটিক উইম্যান অ্যাসােসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি অ স্থায়ী বাজারের আয়ােজন করা হয়েছিল এদিন। সেখানেই অনেক খদ্দের জুটে গিয়েছে তাদের। আফজল ও সালাম জানিয়েছেন, শনিবার নিজেদের পুরােনাে জায়গায় ফিরে যাবেন তারা।

খদ্দের সামালাতে সামলাতে এনডিটিভিকে সালাম জানিয়েছেন, “পুলিশ অনেক সাহায্য করেছে আমাদের।” পাশে বসেছিল তার বন্ধু মুস্তাক। সংবাদমাধ্যম দেখে বলে ওঠেন,’২২ বছর ধরে লখনউ আসছি । এখানকার মানুষ আমাদের অনেক ভালােবাসেন। বাড়ির থেকে এখানে অনেক বেশি নিরাপদ বােধ করি আমরা।’ নিগ্রহের ঘটনা কেন ঘটেছে সে সম্পর্কেও জানেন কাশ্মীরি ফল বিক্রেতারা। দুই দশক ধরে উত্তরপ্রদেশে ব্যবসা করতে আসছেন খুরশিদ আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, ‘পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকেই এসব শুরু হল। একটা মাছ গােটা পুকুরটা নােংরা করে দিয়ে যায়। প্রথমে বেরেলিতে ছিলাম। | সেখান থেকে আমাদের চাপ দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু লখনউ সবসময়। আমাদের পাশে থেকেছে।’
১৪ ফেব্রুয়ারি সিআরপিএফ কনভয়ের উপর হামলা হয়। প্রাণ যায় ৪৯ জনের। ঘটনার দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মহম্মদ। জানা যায়, আদিল নামক এক স্থানীয় বাসিন্দা এই হামলা করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই দেশ জুড়ে কাশ্মীরিদের উপর হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। গেরুয়া বাহিনীর নিগ্রহের শিকার হতে হয় বহু কাশ্মীরের বাসিন্দাকে। কাশ্মীরিদের বয়কট করার ডাক দেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মীরিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র ও ১১ রাজ্যকে। কিন্তু তারপরও ঘটে এই ঘটনা। বুধবার লাঠিসােটা নিয়ে দুই ফল বিক্রেতার উপর হামলা করে গেরুয়া সংগঠনের কয়েকজন সদস্য। সেই ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest