# অমেঠী: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় অমেঠীর বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানির ছায়াসঙ্গী ছিলেন তিনি। একাহাতে সামলেছিলেন সব দায়িত্ব। ভোটের ফল ঘোষণার পরেই আততায়ীদের হাতে খুন হতে হয়েছে বারাউলিয়া গ্রামের প্রাক্তন প্রধান সুরেন্দ্র সিংকে। খবর পেয়ে এ দিন দুপুরেই অমেঠী এসে পৌঁছন নতুন সাংসদ স্মৃতি। গিয়ে দেখা করেন সুরেন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে। তারপরেই দেখা গেল সুরেন্দ্রর মরদেহে কাঁধ দিলেন স্মৃতি। নিজে কাঁধে করেই ছায়াসঙ্গীর মরদেহ নিয়ে গিয়ে তুললেন শববাহী গাড়িতে। সেইসঙ্গে জানালেন, সুরেন্দ্রর পরিবারের সব দায়িত্ব তাঁর।
বারাউলি গ্রামের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন বছর পঞ্চাশের সুরেন্দ্র। এ বারের নির্বাচনে স্মৃতি ইরানির হয়ে প্রচারে অমেঠীর নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। শনিবার রাতে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন সুরেন্দ্র। সে সময়েই দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে সুরেন্দ্রকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাঁকে লখনৌতে নিয়ে যেতে বলা হয়। রাস্তাতেই মারা যান সুরেন্দ্র। রবিবার সুরেন্দ্রর দেহ বাড়িতে পৌঁছতেই গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
Smriti Irani lends shoulder to body of local BJP leader Surendra Singh for funeral. Singh, former village head of Baraulia village and a close aide of Irani, was shot dead by unidentified assailants. pic.twitter.com/bAQJWSIgfN
— Piyush Rai (@Benarasiyaa) May 26, 2019
অমেঠীর পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাঁর দাবি, ১২ ঘণ্টার মধ্যে আততায়ীদের গ্রেফতার করা হবে। তবে রাজনৈতিক বিবাদ নাকি পুরনো কোনও শত্রুতার জেরেও এই খুন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় পুলিশ।
এ বারের নির্বাচনী প্রচারের সময় বারাউলিয়া শিরোনামে এসেছিল। এখানে এসে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি তথা অমেঠীর প্রার্থী রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করার জন্য এলাকায় জুতো বিলি করেছেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। এই সময় সুরেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনিই সব কিছুর দায়িত্বে রয়েছেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় বিজেপি।