Site icon The News Nest

আরও জটিল কর্ণাটকের রাজনৈতিক সমীকরণ! সন্ধে ছটার মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ফের ইস্তফা দেওয়ার সুপ্রিম নির্দেশ

karnataka crisis

#নয়াদিল্লি: কর্ণাটক নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও জোরালো হল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। রাজ্যের ১৬ বিদ্রোহী বিধায়কদের ফের ইস্তফাপত্র জমা নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টার মধ্যে স্পিকারের কাছে ফের ইস্তফাপত্র জমা দিতে হবে তাদের। শুক্রবার এনিয়ে ফের শুনানি করবে সুপ্রিম কোর্ট।

গত এক সপ্তাহ ধরেই কর্নাটকের নাটক ক্রমশ জটিল হচ্ছে। শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের দশ এবং জেডিএসের তিন জন বিধায়কের ইস্তফার মধ্যে দিয়ে। এর পর ইস্তফার হিড়িক আরও বাড়তে থাকে। যদিও কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার জানিয়ে দেন, বিধায়কদের ইস্তফাপত্রে প্রযুক্তিগত ত্রুটি রয়েছে, তাই সেটা গ্রহণ করা হবে না।

এর বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন বিদ্রোহী বিধায়করা। কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে সাহায্য করার জন্যই কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার ইচ্ছে করে তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করেননি, এই অভিযোগ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন দশ জন বিধায়ক। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এ দিন এই রায় দিল আদালত। আদালতের পক্ষ থেকে কর্ণাটকের স্পিকারকে গোটা বিষয়টি নিয়ে আজই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে অনুরোধ করা হয়েছে।পাশাপাশি বিদ্রোহীরা যাতে উপযুক্ত নিরাপত্তা পান, সে জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী আজ দুপুর দুটোর মধ্যে মুম্বই থেকে কংগ্রেস বিধায়করা বেঙ্গালুরুতে ফিরবেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বিদ্রোহী বিধায়করা তাদের ইস্তফা দেওয়ার পর কুমারস্বামী সরকারের টালমাটাল অবস্থা। বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ইস্তফার দাবিও উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের জল্পনা ছিল ইস্তফা দিতে পারেন কুমারস্বামী। তবে সেই সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘কুমারস্বামীর ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব। ২০০৮ সালে ইয়েদুরাপ্পা যাখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর দলের অনেক বিধায়কই ইস্তফা দিয়েছিলেন। তারজন্য কি ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করেছিলেন?’

 

 

Exit mobile version