#নয়াদিল্লি: এনআরএসের বিক্ষোভের ঢেউ কার্যত আছড়ে পড়েছে গোটা দেশেই। রাজ্যে রাজ্যে ‘উই ওয়ান্ট জাসটিস’ স্লোগান তুলেছেন সিনিয়র থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা। মাথায় প্রতীকী ব্যান্ডেজ বেঁধে রাস্তায় নেমেছে রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের হাজার হাজার চিকিৎসকরা। তার মধ্যেই ১৭ জুন সোমবার সারা দেশের হাসপাতালগুলিতে ধর্মঘটের ডাক দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)।
চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হবে ধর্মঘট। চলবে পরের দিন সকাল ৬টা অবধি। জরুরি ও রুটিন পরিষেবা চালু থাকলেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে আউটডোরে। বন্ধ থাকবে অন্যান্য পরিষেবাও।
অন্য দিকে শুক্রবারের কর্মবিরতিতে কার্যত সামিল হয়েছে গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব, বিহার, অসম-সহ সব রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। কোথাও কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন হয়েছে। কোথাও বা রাস্তায় নেমে প্রতিবা মিছিল করেছেন চিকিৎসকরা। ফলে এই সব হাসপাতালে আউটডোর এবং জরুরি পরিষেবা কার্যত বন্ধ। সব মিলিয়ে এনআরএস আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশেই।
বাংলার ক্ষেত্রেও সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডাক্তারদের মধ্যে গণ-ইস্তফার হিড়িক লেগে গেছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির পরেই গতকাল প্রথম ইস্তফা দিয়েছিলেন কামারহাটির সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজের ২০ জন ডাক্তার। রাতে ইস্তফা দেন এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপ্যাল ও সুপার। ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন সিউড়ি হাসপাতালের ৬৭ জন ডাক্তারও। এ দিন ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ মোট ১৭ জন চিকিৎসক। অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে এসএসকেএম-এর সব বিভাগ থেকে পদত্যাগ করলেন মোট ১৭৫ জন ডাক্তার।