আস্থাভোট ঘিরে রণক্ষেত্র বনগাঁ পুরসভা, তৃণমূল- বিজেপি দুই দলেরই বোর্ড গঠনের দাবি

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: আস্থাভোট ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বনগাঁ পুরসভা।ভাঙচুর, বোমাবাজি, লাঠিচার্জ ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পুরসভা ও তার আশপাশের এলাকা। তৃণমূলের দাবি, আস্থা ভোটে জয় পেয়ে বোর্ড দখলে রাখতে পেরেছে তারা। অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, আস্থা ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে তাদেরই জয় হয়েছে। দু’পক্ষই পুরসভা দখলের দাবি করায় রাজনৈতিক উত্তেজনা যেমন চরমে, তেমনই ব্যাপক গন্ডগোলের পরিস্থিতি কার্যত পুলিশ প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে যায়।

আস্থা ভোট ঘিরে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। বিতর্কের সূত্রপাত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই কাউন্সিলরকে ঘিরে। হিমাদ্রি মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা ছিল। হাইকোর্ট এক নির্দেশে জানায়, আগামী ৭ দিন তাঁদের গ্রেফতার করা যাবে না। সেই নির্দেশ নিয়ে এ দিন পুরসভা চত্বরে গেলেও পুলিশ তাঁদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। জানানো হয়, নির্দেশের লিখিত নথি লাগবে। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ বিজেপি সমর্থকরা ব্যাপক উত্তেজনা শুরু করেন। পরে যদিও তাঁরা ওই নির্দেশের প্রতিলিপি নিয়ে জমা দেন।

দিনের শেষে আস্থা ভোট হল বটে, তবে ফলাফল কী হয়েছে তা নিয়ে তৈরি হল চূড়ান্ত ধোঁয়াশা। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি কাউন্সিলররা সময়মতো হাজির হতে না পারায় ভোটাভুটিতে জয়লাভ করেছে তারা। উলটো দিকে বিজেপির দাবি, ১১ জন কাউন্সিলরের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে একজিকিউটিভ আধিকারিকের কাছে। ফলে পুরসভার দখল করেছে তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে পুর ভবন থেকে বেরিয়ে একজিকিউটিভ অফিসার গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, আস্থা ভোট হয়েছে। তবে তাতে কে জিতেছে তা প্রকাশ্যে জানাননি তিনি। বলেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা পড়বে রিপোর্ট।

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest