নয়াদিল্লি : কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি যাওয়ার পথে রবিবার ভেঙে পড়ে ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই বিমানে মোট ১৪৯ জন যাত্রী এবং আটজন বিমানকর্মী ছিলেন। উড়ান সংস্থার সিইও জানিয়েছেন, বিমানে মোট ৩৩টি দেশের যাত্রী ছিলেন। যাঁদের মধ্যে চার জন ভারতের। পরে টুইট করে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, চার জনের পরিচয় মিলেছে।সকলেই পরিবেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরামর্শদাতা শিখা গর্গ।এ ছাড়াও এ দিনের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিন ভারতীয়ের। তাঁরা হলেন, বিদ্যা পান্নাগেশ ভাস্কর, বিদ্যা হানসিন আন্নাগেশ এবং নুকাভারাপু মনীষা। পরিবেশমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, ইউনাইটেড নেশনস্ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের উপদেষ্টা শিখা গর্গ রবিবার সন্ধ্যায় নাইরোবিতে আয়োজিত রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠান ইউনাইটেড নেশনস এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামে (ইউএনইপি) যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইটে লেখেন, “ইথিওপিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় চার ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে খারাপ লাগছে। স্বজন হারান পরিবারের পাশে থাকতে ভারতীয় হাইকমিশনকে নির্দেশ দিয়েছি।”সুষমা জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য করার জন্য ইথিয়োপিয়ার দূতাবাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে আদ্দিস আবাবার বোল আন্তর্জাতিক বিমান থেকে উড়েছিল উড়ান ইটি-৩০২। বোয়িং ৭৩৭- ৮ ম্যাক্স মডেলের এই বিমানটিতে ১৪৯ জন যাত্রী ছিলেন। বিমানকর্মীর সংখ্যা ছিল ৮। আদ্দিস আবাবার মাটি ছাড়ার ছ’মিনিট পরে অর্থাৎ ৮টা বেজে ৪৪ মিনিট নাগাদ বিমানের সঙ্গে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই জানা যায়, রাজধানী থেকে প্রায় ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে বিশোফটু শহরের কাছে ভেঙে পড়েছে বিমানটি। প্রথমে জীবিত যাত্রীদের খোঁজে উদ্ধারকাজ শুরু হলেও কয়েক ঘণ্টা পরে সরকারি সম্প্রচার বিভাগ জানিয়ে দেয়, কোনও যাত্রীরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইথিওপিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। যান্ত্রিক ত্রুটি, নাকি অন্য কোনও কারণে ভেঙে পড়েছে এই বিমান তা এখনও জানা যায়নি। রবিবার দুর্ঘটনার পরেই ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে টুইট করে শোকপ্রকাশ করা হয়। সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে ইথিওপিয়া সরকার।