ইমরানের শান্তিবার্তায় মুগ্ধ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

নয়াদিল্লি: উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে এ কথা জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর এই উদ্যোগের প্রশংসা শোনা গিয়েছে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং-এর গলায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন,” আমি অত্যন্ত খুশি যে অভিনন্দনকে কাল ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা আগেই তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। এটি নিঃসন্দেহে শান্তি স্থাপনের সঠিক বহিঃপ্রকাশ। আমার আশা এই প্রক্রিয়া স্থায়ী হবে।”
বৃহস্পতিবার পাক পার্লামেন্টে ইমরান খান বলেন, “শান্তির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ভারতের উইং কমান্ডার যিনি আমাদের হাতে বন্দি রয়েছেন, তাকে আগামীকাল ছেড়ে দেয়া হবে।” তবে একই সঙ্গে তিনি জানান,”পাকিস্তানের এই শান্তি স্থাপনের প্রচেষ্টাকে ভারত যেন তাদের দুর্বলতা না ভাবে। পাকিস্তান আন্তরিকভাবে শান্তি চাইছে।” এর কারণ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,” সন্ত্রাসবাদে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব থেকে বেশি লড়াই করেছে পাকিস্তান। সে কারণেই পাকিস্তান সার্বিকভাবে চাইছে সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে।” পুলওয়ামা হামলার ঘটনার পর টেলিভিশনে ইমরান যে ভাষণ দেন তাতেও তিনি স্পষ্ট করেছিলেন, যে এই জঙ্গী হামলার পাক মদদের অভিযোগ উঠছে তার প্রমাণ দিক ভারত। ব্যক্তিগতভাবে তিনি কথা দেন এর তদন্ত হবে। যদিও ভারত বলেছে, এরকম কথা পাকিস্তান বহুবার শুনিয়েছে। কিন্তু তাতে থামেনি পাক জঙ্গিবাদ।
অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার সংবাদে টুইট করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি। তিনি বলেন,” উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া শান্তি বার্তা অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। এটিকে অন্যভাবে দেখা একেবারেই উচিত হবে না। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়ে ছিল যে পাকিস্তান হয়তো ভিন্ন পথে হাঁটতে পারত। কিন্তু তারা সে পথে হাঁটেনি। পরিস্থিতি সত্যিই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। যে বিবেচনা পাকিস্তান দেখিয়েছে আমাদের নেতৃত্ব উচিত সেই পথে হাটা।” তিনি আরো বলেন,”পাক প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত রাষ্ট্রনেতার মত আচরণ করলেন। এবার আমাদের রাষ্ট্রনেতাদের পদক্ষেপ ওঠানোর সময়। যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিবারণ করার সময় এসেছে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষ ভিশন অশান্তির মধ্যে রয়েছেন। আর কতদিন তারা এই উদ্বেগ ও যন্ত্রণা ভোগ করবেন। “

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest