ইসলামিক সম্মেলনেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরব সুষমা, নাম না করে তোপ পাকিস্তানকে

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

আবু ধাবি: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফের একবার পাকিস্থানকে তুলোধোনা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ শুক্রবার আবু ধাবিতে ইসলামিক রাষ্ট্রের সংগঠন অরগানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের (OIC)-র বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন তিনি। পাকিস্তানের নাম না করে মঞ্চ থেকে বলেন,’আমরা সত্যিই মানবতাকে বাঁচাতে চাইলে যে সমস্ত দেশ সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় ও অর্থ দিচ্ছে তাদের বলতে হবে, তারা যেন তাদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী ক্যাম্প ধ্বংস করে ফেলে। একই সঙ্গে তাদের দেশে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য বন্ধ করতে হবে সেই দেশকে।”

তবে লড়াইটা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে নয়, সেটাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন সুষমা স্বরাজ। ঋগ্বেদ, কোরান এবং গুরু গ্রন্থ সাহিব থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থা নানা নামে পরিচিত। নানাকাজে সেগুলিকে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই ধর্মীয় আদর্শের বিকৃতি ঘটিয়ে, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে উদ্দেশ্যসাধন করা হয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। ইসলাম মানে শান্তি। আল্লাহের ৯৯টি নামের কোনওটির অর্থই হিংসা নয়।” পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সুষমা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ছড়াচ্ছে। মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। আমি আমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩০ কোটি ভারতবাসী ও ১৮.৫ কোটি ভারতীয় মুসলিমের আশীর্বাদ নিয়ে এখানে এসেছি। ভারতীয় মুসলিমরা আমাদের বিবিধতার অংশ।”

ভারতকে প্রধান অতিথির সম্মান দেওয়ায় বৈঠক বয়কট করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার পাক পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে একথা জানান সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি। বিশ্বের বাকি ইসলামি দেশগুলির প্রতিনিধিরা হাজির থাকলেও, তাদের আসন খালি পড়ে ছিল। সেই ফাঁকা আসনের সামনেই এ দিন ভাষণ দেন সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, “মানবজীবনকে রক্ষা করতে হলে, যে সমস্ত দেশ সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে, তাদের সতর্ক করতে হবে। বলতে হবে, দেশের মাটিতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়া যাবে না।”

আবুধাবিতে সুষমা বলেন, জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রী তুলে ধরেন, পুলওয়ামা কাণ্ডের পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষের ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। ফের হামলা হতে পারে, সেই কারণেই বালাকোটে স্ট্রাইক করা হয়েছিল। এ দিন আরও একবার স্পষ্ট করে সুষমা বলেন, ভারতীয় বায়ুসেনা যা করেছে, তা ছিল অসামরিক (নন মিলিটারি) অভিযান। পাকিস্তান কিন্তু পাল্টা সামরিক অভিযান করার চেষ্টা করে। তবে তাতে যে ভারতকে দমিয়ে রাখা যাবে না, সুষমা তাও খোলাখুলি বলে দেন ইসলামি দেশগুলির শীর্ষ সম্মেলনে।

বলার অপেক্ষা রাখে না পুলওয়ামা কাণ্ডের পর বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পর ভারত-পাক উত্তেজনায় সুষমার এ দিনের বক্তব্য কূটনৈতিক দিক থেকে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।পাকিস্তানের হেফাজতে থাকা ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণার পর কূটনৈতিক মহলের অনেকেই এতে ভারতের জয় দেখেছিলেন। তাঁদের মতে, বিশ্বের একাধিক দেশকে ভারত এক জায়গায় এনে ইসলামাবাদের উপর চাপ তৈরি করতে পেরেছিল। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই ইমরান খানকে ‘শান্তিকামী’ হয়ে বলতে হয়েছে অভিনন্দনকে ভারতে ফেরানোর কথা।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest