Site icon The News Nest

উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিল পাস লোকসভায়

loksabha

উচ্চশিক্ষায় আর্থিক উচ্চবর্ণের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সংরক্ষণের জন্য সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। এতদিন জাতপাতের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চল ছিল। এবার আর্থিকভাবে দুর্বলরাও পেতে চলেছে সংরক্ষণের অধিকার। বুধবার বিলটি পেশ হবে রাজ্যসভায়।

মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী তাওয়ারচন্দ গেহলট। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ৩২৩টি ভোট পড়েছে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে পড়েছে ৩টি ভোট। উনিশের লোকসভা ভোটই পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদী সরকারের। উচ্চবর্ণ বা ‘জেনারেল ক্যাটেগরি’-র পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।এদিন সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে বিলটি নিয়ে বিতর্ক চলে লোকসভায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, বিলটি সুপ্রিম কোর্টে মামলা হলে ধাক্কা খেতে পারে। গেহলতের দাবি, সংবিধান অবজ্ঞা করেই ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যস্থা করেছিল নরসিমা রাও সরকার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্য ও নীতি স্বচ্ছ। তাই সংবিধানের নিয়ম মেনেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন।বিলটির বিরোধিতা করে এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি বলেন,’বিলটি প্রতারণা আর কিছুই নয়। বিলটির মাধ্যমে বাবা সাহেব আম্বেদকরের অপমান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে বিলটি খারিজ হয়ে যাবে।’তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,’কেন মহিলা সংরক্ষণ বিলকে অগ্রাধিকার দিয়ে পেশ করছে না সরকার?এই বিল কর্মসংস্থান দিতে পারবে না। বরং যুবদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভ্রান্ত করবে।’বিলটি যে সুপ্রিম কোর্টের বাধার মুখে পড়বে না, সেই আশ্বাস দিয়ে অরুণ জেটলি বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ ও ১৫ সংশোধন করা হয়েছে। দেশের সব নাগরিকদেরই সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী। জেটলি আরও বলেন,’নিজেদের নির্বাচনী ইস্তাহারে গরিবদের সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিরোধী দলগুলি। বড় হৃদয় নিয়ে বিলটি সমর্থন করুন।’তবে কংগ্রেসের দাবি, লোকসভার আগে তাড়াহুড়ো করে বিলটি আনা হয়েছে।
বিলটি নিয় বিতর্ক চলাকালীন শেষবেলায় সংসদে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভায় ছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীও।

Exit mobile version