এক্স প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে কথা বলব না, মঞ্চ ভাগ করব না- মোদীকে পাল্টা মমতার

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#গোপীবল্লভপুর: ফণী নিয়ে পরিস্থিতি জানতে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সত্যিই ফোন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী? এই নিয়ে যখন বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর তুঙ্গে, তখন গোপীবল্লভপুরের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আপনি যখন কলকাতায় ফোন করছেন, তখন আমি খড়্গপুরে বসে আছি। কোনও সুযোগ ছিল না কথা বলার।”

কিন্তু কলকাতায় থাকলেও কি মমতা কথা বলতেন? নিজেই এ দিন সেই জবাব দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “নবীন পট্টনায়েকের ভোট হয়ে গিয়েছে। তাই আপনার সঙ্গে ঘুরেছেন। আমার ভোট হয়ে গেলে আমিও যেতাম। কিন্তু ভোটের সময় আপনার সঙ্গে আমি কোনও কিছু শেয়ার করব না। এটা ভাল করে মাথায় ঢুকিয়ে নিন।” সেই সঙ্গে মমতা বলেন, “এক্স প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে আমি কোনও কথা বলব না। বলতে হলে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলব।”

ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন বলে এর আগে তাঁর দফতর সূত্রে সামনে এসেছিল। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে নির্বাচনী প্রচারে এসে নিজেও তেমন দাবি করলেন মোদী। তাঁর অভিযোগ, একবার নয়, তিনি মমতাকে দু’বার ফোন করেছিলেন। কিন্তু কথা বলেননি মমতা। মোদীর তোলা প্রশ্নের পাল্টা জবাব শোনা গিয়েছে মমতা মুখে। পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরের জনসভা থেকে মোদীর এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় ছিলাম না, যে কলকাতা থেকে আপনার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ ছিল।’’ তিনি অভিযোগ তোলেন, তাঁকে ছাড়াই রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া মুখ্য সচিব এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদেকর সঙ্গে বৈঠক ডাকার স্পর্ধা দেখান কীভাবে? বাংলায় এ সব নাটক করবেন না। এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী আপনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যই নন। আপনার সহানুভূতি চাই না আমাদের।”

ফণীর প্রকোপে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে এ দিন সকালেও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন মোদী। কিন্তু তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপত্তি তোলেন বলে অভিযোগ তাঁর। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  উনি সভা করতে আসছেন। সেজন্য কলাইকুন্ডায় নামবেন। আর আমরা চাকর-বাকর। সেখানে ডেকে পাঠাবেন। আপনি কলাইকুণ্ডায় নির্বাচনী প্রচারে আসছেন, কেন সরকারি বৈঠক করব? আপনি নির্বাচনী মিটিং করতে আসতেন না। তাহলে সরকারি বৈঠক হত।  তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়া মুখ্য সচিব এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদেকর সঙ্গে বৈঠক ডাকার স্পর্ধা দেখান কীভাবে? বাংলায় এ সব নাটক করবেন না। এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী আপনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যই নন। আপনার সহানুভূতি চাই না আমাদের। নির্বাচনের সময় আপনার সাথে মঞ্চে উঠব না। এটা মাথায় ঢুকিয়ে নিন। তার কারণ, আপনাকে এখন আর প্রধানমন্ত্রী মানি না। নতুন প্রধানমন্ত্রী হলে তাঁকে বলব।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ২০১৭ সালে রাজ্যে বন্যার প্রসঙ্গে টেনে আনেন৷ জানতে চান কেন রিপোর্ট পেশ সত্ত্বেও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কেন একটা টাকা দেওয়া হল না? মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট কথা, ‘‘যে টাকা ফণীর ক্ষতিতে আপনি দিয়ে রাজনীতি করতেন তা বাংলাই দিয়ে দেবে৷’’ তমলুকের জনসভা থেকে মোদী অভিযোগ করেন, দিদি ফণী নিয়ে রাজনীতি করছেন। পাল্টা মমতা বলেন, “দিদির পায়ের নখের যোগ্য আপনি হতে পারবেন না!”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest