নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র কাশ্মীরি হওয়ার কারণে যােগী রাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর হাতে নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে দুই ফল বিক্রেতাকে। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে টুইটারে সরব হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি।। গােটা বিষয়টির নিন্দা করে রাহুল লিখেছেন, ‘উত্তরপ্রদেশে কাশ্মীরিদের উপর নিগ্রহের ভিডিয়ােটি দেখে হতাশ বােধ করছি। তবে স্যালুট জানাতে চাই সেইসব সাহসী ব্যক্তিদের যারা ওই দুই কাশ্মীরি ফল বিক্রেতাকে রক্ষা করেছেন। এদেশ সবার। দেশের প্রতিটি কোণে থাকা মানুষের এই দেশ। কাশ্মীরি ভাই ও বােনেদের উপর নিগ্রহের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
কাশ্মীরিদের উপর দেশের নানা প্রান্তে হিংসার ঘটনা আরও বেশি চোখে পড়ছে পুলওয়ামা হামলার পর থেকেই। কখনও চিকিৎসক, কখনও দেরাদুনের পড়ুয়া, কখনও বা নিরীহ শাল বিক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন শুধুমাত্র জন্মসূত্রে বাসিন্দা বলে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে দু’দিন আগে যােগী রাজ্য লখনউয়েও। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দক্ষিণপন্থী সংগঠনের জনা কয়েক সদস্য আচমকাই চড়াও হয় দুই ফল বিক্রেতার উপর। তাঁদের মারধর করতে শুরু করে। ফেসবুকে শেয়ার করা ভিডিয়ােতে অভিযুক্তকে বলতে শােনা গিয়েছে যে, শুধুমাত্র কাশ্মীরি হওয়ার জন্যই মার খেতে হচ্ছে তাঁদের। লাঠি দিয়ে বারবার মারায় রক্তাক্ত হন ওই দুই ব্যক্তি। তাঁদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। তাঁরাই উদ্ধার করেন ওই দুই ব্যক্তিকে। ভিডিয়ােতে দেখা গিয়েছে, গেরুয়া রঙের পােশাক পরা দুই ব্যক্তি, কাশ্মীরের দুই ‘ড্রাই ফুট’ বিক্রেতাকে এসে লাঠি দিয়ে মাথায় মারছেন। দুই ব্যক্তি মাথা বাঁচানাের চেষ্টা করছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে টাইট করেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই টুইট প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগও করেন তিনি। মূল অভিযুক্ত বজরং সােনকার ও অমর মিশ্র সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মােট ১২টি অভিযােগ দায়ের অমর মিশ্র সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মােট ১২টি অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সকলেই বিশ্ব হিন্দু দলের সদস্য বলে। জানা গিয়েছে। আক্রান্ত দুই ব্যক্তি হলে আফজল নায়েক ও সালাম নায়েক। তারা দুজনেই জম্মু-কাশ্মীরের কুলগামের বাসিন্দা।