#কলকাতা: এনআরএস কাণ্ডের জের। আররজিকর হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগের ৮২ চিকিত্সক ইস্তফা দিলেন। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে ব্যবহার করেছেন বিরুদ্ধে এদিন সরব হতে দেখা গিয়েছে এই মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের৷ তাঁদের দাবি, নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ ইতিমধ্যেই সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৮ জন চিকিত্সক ইস্তফা দিয়েছেন। গণইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের চিকিত্সকরাও। আরজিকর হাসপাতালে অচলাবস্থা জারি রয়েছে।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া চিকিৎসকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবং নিরাপত্তার দাবিতে ইস্তফা দিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের দুই চিকিৎসক৷ ইতিমধ্যে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তাঁরা৷
জানা গিয়েছে, ইস্তফা দিয়েছেন হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের প্রধান নির্মল বেরা৷ এবং ওই বিভাগেরই সহকারী প্রধান উত্তম মজুমদার৷ ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসাবে নিরাপত্তার গাফিলতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তাঁরা৷ জানিয়েছেন, তাঁরা পরিষেবা দিতে প্রস্তুত৷ কিন্তু, এর আগে সরকারকে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ প্রশাসনের উদ্দেশে তাঁদের প্রশ্ন, ‘‘যদি আমরাই না বাঁচি, তাহলে মানুষের প্রাণ বাঁচাব কীভাবে?’’ কেবল উত্তরবঙ্গ নয়, একই অচলাবস্থার ছবি ধরা পড়েছে জেলার হাসপাতালগুলিতেও৷ বর্ধমান মেডিক্যাল স্তব্ধ পরিষেবা৷ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজেও বন্ধ পরিষেবা৷ যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন রোগীর বাড়ির লোকরা৷ হাসপাতালের সামনে বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁরা৷ অন্যদিকে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় তৈরি হওয়া অব্যবস্থার অভিযোগ নিয়ে শুক্রবারই রাজভবনে যাচ্ছেন সিনিয়র চিকিৎসকদের একটি দল৷ সূত্রের খবর, রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন তাঁরা৷ দাবি তুলবেন তাঁর হস্তক্ষেপের৷