এনআরএস-কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে আউটডোর বন্ধ

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#কলকাতা: নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের প্রতিবাদে বড় ধাক্কা খেতে চলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা৷ বুধবার ১২ ঘণ্টা রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস৷ তবে জরুরি পরিষেবা এই বনধের বাইরে থাকবে বলে আশ্বাস মিলেছে৷

সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়ায়। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, রোগীর আত্মীয়রা তাঁদের বেধড়ক মারধর করে পুলিশের সামনেই। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু যারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। সোমবার রাতের ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দেন রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। কিন্তু বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে নামলেও কর্মবিরতি ওঠেনি। স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী এবং কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে অবস্থানকারীদের বৈঠক হয়। সেখানে অবস্থানকারীরা তাঁদের নিরাপত্তার দাবি করেন। সরকারি ভাবে আশ্বাসও দেওয়া হয়। প্রশাসনের শীর্ষ স্তর থেকে কোনও আশ্বাস না মিললে, এই আন্দোলন চলবে। জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করে ৭টি চিকিৎসক সংগঠনের মিলিতফোরাম— ডক্টর্‌স ফোরাম। ফলে বুধবার রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা কার্যত বিপর্যস্ত হতে চলেছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘জুনিয়র ডাক্তাররা ন্যায্য দাবিতেই আন্দোলন করছেন। তাতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। সে কারণেই আউটডোর বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে।’’

এনআরএস থেকে আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর, এসএসকেএম হাসপাতালেও। এ দিন ওই হাসপাতালগুলিতেও আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল। এই আঁচ ছড়িয়েছে জেলার মেডিক্যাল কলেজেও। সেখানকার জুনিয়র চিকিৎসকেরাও আউটডোর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি সিনিয়র ডাক্তাররাও আটডোর পরিষাবে বন্ধের ডাক দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে এসে সমস্যায় পড়েছেন রোগীর পরিবারেরা। তাঁরা হেনস্থার মুখেও পড়েছেন। এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও যদি আউটডোর বন্ধ থাকে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

প্রসঙ্গত, রোগীর আত্মীয়দের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন এনআরএসের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়। তাঁর খুলিতে আঘাত রয়েছে। তাঁকে রাখা হয়েছে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেসে।

 

 

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest