এনসেফালাইটিসে মৃত্যুমিছিল, বিহার সরকারকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের, ৭ দিনের মধ্যে জবাব তলব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest

#নয়াদিল্লি: বিহারে প্রায় মারণ রোগের আকার নিয়েছে এনসেফালাইটিস৷ প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা৷ এই ঘটনার দিকে এবার দৃষ্টিপাত করল সুপ্রিম কোর্ট৷ বিহার সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি৷ শিশুমৃত্যু রুখতে, রোগ প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আগামী সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷

অন্য দিকে কেন্দ্রীয় ও বিহার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মুজফ্ফরপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালত। একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘এটা চলতে দেওয়া যায় না। এর উত্তর চাই’। যদিও নীতীশ কুমার সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং এখন এনসেফ্যালাইটিস নিয়ন্ত্রণে।

গত প্রায় এক মাস ধরে মূলত মুজফ্ফরপুর-সহ বিহারের বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ আকার নিয়েছে এনসেফ্যালাইটিস। শতাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যদিও বেসরকারি মতে সংখ্যাটা দেড় শতাধিক। এই প্রেক্ষিতেই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন জনৈক মনোহর প্রতাপ এবং এস আজমণি। তাঁদের অভিযোগ, বিহার সরকার যে সব পদক্ষেপ করেছে, তা পর্যাপ্ত নয় এবং রোগ ছড়িয়ে পড়া আটকাতেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দুই মামলাকারীর দাবি ছিল, শীর্ষ আদালতের উচিত, এই রোগ যাতে মহামারির আকার না নেয়, তা দেখতে বিহার সরকারকে উপযুক্ত নির্দেশিকা দিক সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার মামলার শুনানি হয় বিচারপিত সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি বি আর গবাই-এর বেঞ্চে। শুনানিতে বিহার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এনসেফ্যালাইটিস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার জন্য এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। নীতীশ কুমার সরকারের আইনজীবীরা হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ১০ দিনের সময় চান।

কিন্তু দুই বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই অবস্থা চলতে পারে না। এনসেফ্যালাইটিস নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা হচ্ছে কি না, তারা প্রয়োজন মতো ওষুধপত্র পাচ্ছে কি না, হাসপাতালগুলিতে উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছ কি না— সে সব বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। ১০ দিন পর ফের মামলার শুনানি।

অন্য দিকে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল বিহারের মুজফ্ফরপুরের আদালতেও। সেই মামলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন এবং বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডের বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা দায়ের হয়। এনসেফ্যালাইটিস রুখতে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী পর্যাপ্ত পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল ওই মামলায়। সেই মামলাও সোমবার গ্রহণ করেছেন মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক সূর্যকান্ত তিওয়ারি। দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on telegram
Share on whatsapp
Share on email
Share on reddit
Share on pinterest